বিয়েতে রাজি না হওয়ায় বখাটের হামলায় মা মেয়ে আহত

মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় রাতের আঁধারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা মেয়েসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেছে এক বখাটে। তারা বর্তমানে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তবে ঘটনার হামলাকারী ওই বখাটে পলাতক রয়েছে।
বখাটের হামলায় আহত দুই মেয়ের সঙ্গে তাদের মা। ছবি: স্টার

মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় রাতের আঁধারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা মেয়েসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেছে এক বখাটে। তারা বর্তমানে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তবে ঘটনার হামলাকারী ওই বখাটে পলাতক রয়েছে।

ঘটনাটি গত রোববার উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম পোয়া গ্রামে ঘটলেও জানাজানি হয়েছে দুদিন পর আজ মঙ্গলবার।

জানা গেছে, মুকবুল আহাম্মদের মেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে বখাটে ওয়াসিম বেশ কিছুদিন ধরে বিয়ের করবে বলে উত্যক্ত করছিল। ঘটনাটি পরিবার জানলেও ভয়ে তারা কাউকে কিছু বলেনি। আহত কিশোরীর মা সাহিদা বেগম জানান, বখাটে ওয়াসিম বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। বিষয়টি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে কিছুদিন আগে তার মেয়ের জন্য বিয়ের আরেকটি প্রস্তাব আসে। কিন্তু এই মুহূর্তে বিয়ে দিবেন না বলে তাদের বিদায় করেন। বিয়ের প্রস্তাব আসার সংবাদ শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বখাটে ওয়াসিম। সে ও তার সঙ্গীরা রোববার রাতে ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে তার মেয়েকে কুপিয়ে আহত করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আমাকে এবং তিন বছরের শিশুকে কুপিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই রাতেই তাদেরকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় স্থানীয় লোকজন।

এব্যাপারে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক আসাদুজ্জামান বলেন,  তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে আসলেও এখন তাদের অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রকিব বলেন, এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার মেয়ের বাবা পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের ধরতে আমরা তৎপর রয়েছি।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago