‘কেউ একজন বড় স্কোর করলে ঘটনা অন্যরকম হতো’

ব্যাট করতে পারেন এমন আটজনের সাতজনই ভারতের বিপক্ষে দুই অঙ্কে পৌঁছান। তারপরও সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। বাঁচা-মরার ম্যাচটা ২৮ রানে হেরে গিয়ে। কিন্তু গল্পটা হতে পারত সম্পূর্ণ ভিন্ন। জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি টাইগাররা। এর পেছনে ব্যাটসম্যানের বড় ইনিংস খেলতে না পারার ব্যর্থতাকে দায় দিচ্ছেন সৌম্য সরকার।
soumya sarkar
ফাইল ছবি : রয়টার্স

ব্যাট করতে পারেন এমন আটজনের সাতজনই ভারতের বিপক্ষে দুই অঙ্কে পৌঁছান। তারপরও সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। বাঁচা-মরার ম্যাচটা ২৮ রানে হেরে গিয়ে। কিন্তু গল্পটা হতে পারত সম্পূর্ণ ভিন্ন। জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি টাইগাররা। এর পেছনে ব্যাটসম্যানের বড় ইনিংস খেলতে না পারার ব্যর্থতাকে দায় দিচ্ছেন সৌম্য সরকার।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বার্মিংহামের এজবাস্টনে ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া ৩১৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৮৬ রানে। সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেও বাকিরা তাদের সঙ্গ দিতে পারেননি। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সাব্বির রহমানরা উইকেটে মানিয়ে নেওয়ার পর আউট হন। এই তালিকায় আছেন সৌম্য নিজেও।

জবাব দিতে নেমে পুরোটা সময় ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় তীরে পৌঁছানোর আগেই ডুবে যায় তরী। এক পর্যায়ে শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৯০ রান। তখন হাতে ছিল ৪ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন সাব্বির ও সাইফউদ্দিন। এরপর শেষ ৫ ওভারে জয় পেতে লাগত ৫১ রান। কিন্তু ততক্ষণে সাজঘরে ফিরে গেছেন সাব্বির ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তাই দুর্দান্ত ব্যাটিং করা সাইফউদ্দিন ৩৮ বলে ৫১ রান করে একপ্রান্তে অবিচল থাকলেও হারতেই হয় বাংলাদেশকে।

সাইফউদ্দিনের লড়াইয়ের আগে ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সাকিব লম্বা সময় ক্রিজে থেকে করেন ৭৪ বলে ৬৬ রান। তাকেও সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। তাকে ক্রিজে রেখেই একে একে বিদায় নেন সৌম্য, মুশফিক, লিটনরা। অথচ সবাই থিতু হয়ে গিয়েছিলেন উইকেটে। তাই ম্যাচ শেষে আক্ষেপ বাড়ায় এই স্কোরগুলো- তামিম ২২, সৌম্য ৩৩, মুশফিক ২৪, লিটন ২২, সাব্বির ৩৬। অথচ তারা ইনিংসগুলো লম্বা করতে পারলে সাকিব-সাইফউদ্দিনের ব্যাটে লেখা হতে পারত স্মরণীয় কিছু।

ম্যাচ শেষে সৌম্য বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই, এই ম্যাচটা হারায় আমরা খুব হতাশ। আমি মনে করি, যারা উইকেটে মানিয়ে নিয়েছিলেন, তারা যদি লম্বা সময় থাকতে পারতেন, তাহলে ম্যাচের চেহারাটা পাল্টে যেত। কিন্তু আমরা কেউই তা পারিনি।’

‘আমাদের যে কোনো একজন বড় স্কোর করলে ঘটনা অন্যরকম হতো আর এই তালিকায় আমি নিজেকেও রাখছি। এটা হয়তো ম্যাচের ফলটাই বদলে দিত। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, এটা হয়নি।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago