নারায়ণগঞ্জে ১২ ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার

মাদ্রাসার ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের মাহমুদপুর এলাকার বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসা থেকে অধ্যক্ষ আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ছবি: স্টার

ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জে এবার একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। র‍্যাবের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে গত প্রায় দেড় বছরে ওই শিক্ষক মাদ্রাসার ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন। এ ছাড়াও ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির অভিযোগের পাশাপাশি তার মুঠোফোন ও কম্পিউটারে পর্নো ভিডিও পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় র‍্যাবের এর একটি টিম ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকার বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসা থেকে অধ্যক্ষ আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে।

আল আমিন (৪৫) বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক ও অধ্যক্ষ। একই সঙ্গে তিনি মাহমুদপুর মসজিদের ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

র‍্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক আলেপ উদ্দিন জানান, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার অক্সফোর্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে কয়েকদিন আগে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২০ জনের বেশি ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। ফেসবুকে এই খবরটি দেখছিলেন বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর মা। তখনই ওই ছাত্রী তার মাকে বলে, “এই শিক্ষক (আরিফুল) গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু আমাদের মাদ্রাসার হুজুরকে কেন গ্রেপ্তার করা হয় না?”

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী তার মাকে জানায়, অধ্যক্ষ আল আমিন মাদ্রাসার মেয়েদের ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। পরে ওই ছাত্রীর মা বিষয়টি র‍্যাবকে জানান।

র‍্যাবের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ২০১৮ সাল থেকে  ওই শিক্ষক এ পর্যন্ত মাদ্রাসার ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ চেষ্টা ও যৌন হয়রানিরও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার মুঠোফোন ও কম্পিউটারে তল্লাশি চালিয়ে পর্নো ভিডিও পাওয়া গেছে। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপ আরও জানান, মাদ্রাসার ভেতরে পরিবার নিয়ে থাকতেন আল আমিন। বাসায় তার স্ত্রী না থাকলে বা মাদ্রাসার ছুটির সময়টাতে নানা কৌশলে তিনি অপকর্ম চালাচ্ছিলেন। পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া, নাম্বার কম দেওয়া, মারধর করার হুমকি ও প্রলোভন দিয়ে তিনি ছাত্রীদের ধর্ষণ করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

ICT case: Hasina charged with crimes against humanity

ICT prosecution pressed formal charges against Sheikh Hasina in a case filed over crimes against humanity committed during July mass uprising

1h ago