‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে নিয়মরক্ষা বলে কিছু নেই’
ভারতের কাছে হারায় বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন আগের ম্যাচেই শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। পাকিস্তানের সম্ভাবনা কাগজে-কলমে এখনও টিকে থাকলেও তা আসলে অসম্ভবেরই সামিল। তাই ‘নিয়মরক্ষা’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে দুদলের দ্বৈরথের সঙ্গে। আর এখানেই ঘোর আপত্তি বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডসের।
বিশ্বকাপের সুপার এইট ও কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুখময় স্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। তবে একক আসরে তিনটির বেশি ম্যাচ জেতার স্বাদ নেওয়া হয়নি কখনো। ২০০৭ ও ২০১৫ বিশ্বকাপের পর এবারও তিনটি ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। পাকিস্তানকে হারিয়ে সুযোগ রয়েছে সংখ্যাটাকে প্রথমবারের মতো চারে নেওয়ার। সুযোগ রয়েছে পঞ্চম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য মর্যাদার লড়াইও বটে। ক্রিকেটার, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থক, সবাইকে নাড়া দিতে থাকে উত্তেজনা, উন্মাদনা। বিষয়টা রোডসেরও অজানা নয়। তার ওপর ম্যাচের ভেন্যু লর্ডস, ক্রিকেটের তীর্থস্থান যাকে বলা হয়। সেখানে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে খেলার দিনটা স্মরণীয় করে রাখতে নিশ্চয়ই মুখিয়ে বাংলাদেশ।
এসব অর্জন আর রোমাঞ্চের হাতছানি একবিন্দুতে মিলিয়ে ম্যাচের আগের দিন (৪ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে রোডস বলেন, ‘লর্ডসে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ, সুন্দরতম লর্ডসে। এখানে নিয়মরক্ষা বলে কিছু নেই। উভয় দল একে অপরকে হারাতে মরিয়া। আমরা তো অবশ্যই। আমি নিশ্চিত, তারাও মরিয়া। তাদেরও অনেক কিছু পাওয়ার আছে এ ম্যাচ থেকে।’
‘আমরা অবশ্যই জয় প্রত্যাশা করছি। আমরা জিততে চাই। আজ আমরা ভালোভাবে অনুশীলন করেছি। আমরা দারুণ কিছু পরিকল্পনা সাজিয়েছি। ভারতের বিপক্ষে হেরে আমরা প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েছি ঠিকই, কিন্তু তখন আমরা বুঝতে পেরেছি যে, আমাদের আরও একটি ম্যাচ বাকি আছে এবং লর্ডসে একটি বিশেষ উপলক্ষ রয়েছে আর শক্তিশালী একটি দলকে হারাতে হবে।’
‘তাই যদি আমরা এ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে পরাস্ত করতে পারি, ছেলেদের (ক্রিকেটারদের) নিয়ে আমরা ভীষণ, ভীষণ গর্ববোধ করব।’
নিজেদের অভিষেক বিশ্বকাপে ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। গেল চার বছরে এই দলটির বিপক্ষে কোনো ওয়ানডে হারেননি মাশরাফি বিন মর্তুজারা। চার ম্যাচ খেলে সবকটিতে জিতেছে বাংলাদেশ।
Comments