বাংলাদেশ দলের ওপর বজ্রপাত হলে সম্ভব, ইউসুফের রসিকতা

সমীকরণটাই এমন যে, পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ একেবারে নেই বললেই চলে। কঠিন বাস্তবতাটা মানছেন দলটির সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফও। এর মাঝেও পাকিস্তানের শেষ চারে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে নির্মম রসিকতা করতে ছাড়েননি তিনি।
pakistan cricket team
ছবি: রয়টার্স

সমীকরণটাই এমন যে, পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ একেবারে নেই বললেই চলে। কঠিন বাস্তবতাটা মানছেন দলটির সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফও। এর মাঝেও পাকিস্তানের শেষ চারে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে নির্মম রসিকতা করতে ছাড়েননি তিনি।

আজ (৫ জুলাই) লর্ডসে পাকিস্তান যদি বাংলাদেশকে হারায় তবে তাদের পয়েন্ট বেড়ে হবে ১১। নিউজিল্যান্ডের পয়েন্টও ১১। তাছাড়া দুদলের জয়ের সংখ্যা তখন হবে সমান পাঁচটি। তাই সেমিতে খেলতে হলে পাকিস্তানকে টপকাতে হবে কিউইদের রানরেট।

নেট রান রেটে নিউজিল্যান্ড অনেক এগিয়ে, ০.১৭৫। পাকিস্তানের নেট রান রেট -০.৭৯২। তাই কিউইদের রান রেট ছাড়িয়ে যেতে হলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সরফরজ আহমেদের দলকে আগে ব্যাটিং করতে হবে। আর আগে বোলিং করলে কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না। কোনো বল হওয়ার আগেই বাদ পড়বে তারা!

আগে ব্যাটিং করলেও পাকিস্তানকে জিততে হবে রেকর্ড ব্যবধানে। তারা যদি স্কোরবোর্ডে ৩৫০ রান তোলে, তাহলে জিততে হবে ৩১১ রানে। ৪০০ রান তুললে ৩১৬ রানে অথবা ৪৫০ রান তুললে ৩২১ রানে জিততে হবে।

এমন কিছু ঘটার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। সে কারণে বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে মনে করছেন ইউসুফ। গতকাল স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অতিপ্রাকৃত কোনো কিছু ঘটলেই কেবল পাকিস্তানের সেমিফাইনালে খেলা সম্ভব।

ঠাট্টা করে ইউসুফ বলেন, ‘সন্দেহ নেই, পাকিস্তান বাদ পড়ে গেছে। কিন্তু যদি বাংলাদেশ দলের ওপর বজ্রপাত হয় আর তারা খেলতে না পারে অথবা তারা হঠাৎ করে আনফিট হয়ে পড়ে অথবা আমাদেরকে ১ ওভারে ১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হয়। এমন কিছু ঘটলে আমরা সেমিফাইনালে উঠে যাব।’

তার মতে, কোনো ছোট দলের বিপক্ষে খেলা হলেও এই সমীকরণ মেলানো অসম্ভবের পর্যায়ে, ‘বর্তমান পরিস্থিতি খুব কঠিন। র‍্যাঙ্কিংয়ের নিচের দিকের কোনো দলের সঙ্গে খেললেও ৩১৬ রানে জেতাটা সহজ না।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago