নাট-বল্টুহীন সংযোগ, বাঁশ দিয়ে মেরামত রেলসেতু
আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ১৭৯ কিলোমটার রেলপথে ছোট বড় মিলিয়ে সেতু রয়েছে প্রায় ২৫০টি। ঔপনিবেশিক আমলে তৈরি সেতুগুলোর মধ্যে শ’খানেকের অবস্থা খুবই খারাপ। অনেকগুলোতেই কাঠের স্লিপার, ব্যান্ডেড ক্লিপ, নাট-বল্টু নষ্ঠ হয়ে গেছে। কিছু জায়গায় বাঁশ দিয়ে কোনো মতে রেল যোগাযোগ চালু রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক জায়গায় ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটারে বেঁধে দেওয়া হয়েছে গতিসীমা।
আখাউড়া-সিলেট রুটে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনায় পড়েছে ট্রেন। এর মধ্যে গত ২৩ জুন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচালে উপবন এক্সপ্রেসের কয়েকটি কোচ লাইনচ্যুত হয়ে পাঁচ জন নিহত ও শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। দশকের পর দশক ধরে এই রেল লাইন বেহাল দশায় থাকলেও বড় দুর্ঘটনার পর এসেছে আলোচনায়।
পূর্বাঞ্চল রেলের সিলেট বিভাগের আওতায় থাকা সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ বছর আগে। এর পর আর একটি সেতুও পুনর্নির্মাণ হয়নি। রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেতুগুলো।
হবিগঞ্জের বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, পাহাড়ি নদীতে পানির বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কিছু সেতুতে ঝুঁকি এখন আরও বেড়েছে। নদী থেকে নির্বিচারে বালু উত্তোলন করায় সমস্যা বেগতিক হয়েছে।
সিলেট রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন ম্যানেজার সজিব কুমার মালাকার বলেন, সিলেট আখাউড়া সেকশনের প্রায় ১০০টি সেতুতে ঝুঁকি রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব সেতু পারাপারের সময় সর্বোচ্চ পাঁচ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালাতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
Comments