এগারো বছর আগের স্মৃতি মনে করেও মনে করতে চান না কোহলি
সেই ২০০৮ সাল। কৈশোর পেরুনো বিরাট কোহলি তখন ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক, একই বয়সী কেইন উইলিয়ামসন অধিনায়কত্ব করছেন নিউজিল্যান্ড যুবদলের। মালয়েশিয়ায় যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল সেবার দেখা হয়ে গিয়েছিল দুদলের। এগারো বছর পর তারা দুজনই এবার জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে মূল বিশ্বকাপের সেমিতে মুখোমুখি।
ম্যানচেস্টারে সেমিফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন, কোহলির কি মনে পড়ে সেদিনের স্মৃতি? সেই স্মৃতি অবশ্য ভারতের জন্য সুখকর নয়। সেবার সেমিতে ডি/এল মেথডে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
মজার ব্যাপার হলো এগারো বছর আগের সেই ম্যাচ দল হারলেও উইলিয়ামসনকে আউট করেছিলেন অনিয়মিত বোলার কোহলি। নিজের সেই কীর্তি বেমালুম ভুলেই গিয়েছিলেন। মনে করিয়ে দিতেই অট্টহাসিতে বললেন, ‘আমি জানি না এটা আবার হবে কিনা।’
তবে এগারো বছর আগে স্মৃতি মনে করা না করা নিয়ে ভারত অধিনায়ক ব্যাখ্যা দিলেন দুভাবে। নিজেদের সম বয়সী বিভিন্ন দেশের যুবদলের সেই ব্যাচের পুনর্মিলনীর দিক থেকে স্মৃতিটা কোহলির কাছে সুন্দরতম। কিন্তু ম্যাচের ফল? একদমই মনে করতে চান না তিনি, ‘আমার মনে আছে। আমার নিশ্চিত কেইনেরও (উইলিমস) আছে। কাল যখন দেখা হবে কেনকে আমি মনে করিয়ে দেব। এটা সুন্দর ব্যাপার যে ১১ বছর পর আমরা আবার নিজ নিজ দেশের অধিনায়কত্ব করছি যেটা যুবদলে করেছিলাম। আমাদের ওই ব্যাচের অনেক খেলোয়াড় আমাদের দল, তাদের দল এবং অন্য অনেক দলে এখনো খেলছে। এটা দেখা এক দিন থেকে দারুণ ব্যাপার।’
‘যদি বলেন সুন্দর স্মৃতি কিনা, তবে বলব হ্যাঁ দুজনের জন্যই তা। কিন্তু যদি বলেন সেই ম্যাচে কি হয়েছিল তাহলে বলব সেখানে (স্মৃতিতে) আবার ফেরত যেতে চাই না।’
এগারো বছর আগের ম্যাচের মতো মঙ্গলবারও বৃষ্টি বাধায় পড়তে পারে ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনালে উঠার লড়াই। তেমনটি হলে কালতাল বেড়ে যাবে আরও। কোহলি নিশ্চিতভাবেই বাকি আর কিছুই মেলাতে রাজী নন।
এবার বিশ্বকাপে লিগ পর্বে মাত্র এক ম্যাচই হেরেছিল ভারত। বাকিসব জিতলেও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে লিগ পর্বের ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। সব মিলিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে শিরোপা প্রত্যাশীরা। আর নিউজিল্যান্ড? শুরুতে দারুণ খেললে শেষ দিকে হেরে কোনরকমে নিশ্চিত করে শেষ চার।
তবে কোহলি মনে করেন লিগ পর্বে যে মেজাজে খেলা হয়েছিল, সেমিতে তা মিলবে না। নক আউট পর্ব বলেই এই ধরণের ম্যাচের ঝাঁজই আলাদা, ‘আমার মনে হয় একটু ভিন্ন হবে। যদি সত্যি করে বলি যখন সমীকরণ থাকে জিতলে পরের রাউন্ডে যাবেন তাহলে একটু রিলাক্স থাকার ব্যাপার আসে। আর যদি দেখেন হারলেই আপনি বাদ যখন অন্যরকম হয় সবকিছু। নকআউট বলেই সব কিছু হয় আরও সুনির্দিষ্ট, ছকে বাধা। সেকারণেই খেলার উত্তাপ থাকে বেশি।’
Comments