রোডসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন বিসিবির
বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল পায়নি বাংলাদেশ। এক অর্থে ভরাডুবিই হয়েছে টাইগারদের। আর এ কারণে ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন ছিল কোচ স্টিভ রোডসকে ছাঁটাই করতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এমন কিছুর আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন রোডস। বিসিবির সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
রোডসের পদত্যাগ প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, 'বিষয়টি এমন নয় যে আমরা তাকে বরখাস্ত করেছি। আমরা দুই পক্ষ একটি সমঝোতায় এসেছি বিশ্বকাপের পর, যদিও তার চুক্তি ২০২০ সালের টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিল। আমরা এটিকে সমঝোতা হিসেবেই নিচ্ছি। আমরা এখন থেকেই এর বাস্তবায়ন করছি, তার মানে এই যে সে আমাদের সাথে থাকছে না শ্রীলঙ্কা সফর থেকেই।'
রোডসের জায়গায় কে আসতে পারেন তা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান নিজামউদ্দিন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি যে, ভবিষ্যতে আমরা কাদের নিয়ে কাজ করবো। আমরা শুধু চাইলেই হবে না, তাদেরকে সময়মতো পাওয়ারও একটা ব্যাপার আছে, তারা ফ্রি কিনা সেটাও দেখতে হবে। এটা নিয়ে এখনও আলাপ-আলোচনা চলছে, আগামী বোর্ড সভায় আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।’
২০১৭ সালে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আকস্মিক বিদায়ের পর ২০১৮ সালের জুনে টাইগারদের দায়িত্ব নেন রোডস। তবে ২০২০ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি করেছিল বিসিবি। জানা গেছে, দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রভাব খাটাতে না পারায় এবং সঠিক পরিকল্পনা করতে তার উপর সন্তুষ্ট নয় বিসিবি। শেষ পর্যন্ত চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই চাকরি ছাড়তে হলো তাকে।
এর মধ্যে এ মাসের শেষে শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল। সে সফরে হয়তো ভারপ্রাপ্ত কোচের অধীনেই খেলতে হবে টাইগারদের। তবে কে কোচ থাকবেন, সেটা ঠিক হবে আগামী ২২ জুলাই বোর্ড সভায়। ব্যক্তিগত কারণে এই সফরে যাচ্ছেন না ব্যাটিং কোচ নীল ম্যাকেঞ্জিও। এছাড়া পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ, স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশি এবং ফিজিও থিহান চন্দ্রমোহনের সঙ্গেও চুক্তি নবায়ন করেনি বিসিবি। শুধু ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক ও পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন কেবল রয়েছেন দলের সঙ্গে।
Comments