‘যেমন ডগই হই না কেন…’
আন্ডারডগ বলেই কি দেখিয়ে দেওয়ার তাড়না পাচ্ছেন বেশি? ঠিক এমন প্রশ্নই গিয়েছিল কেন উইলিয়ামসন বরাবর। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক যে জবাব দিলেন, তাতে উঠল অট্টহাসির রোল। আন্ডারডগ কিংবা ‘যেমন ডগই’ হন না কেন মাঠে নেমে যে হিসাব ভিন্ন, ভদ্র ভাষায় তা বুঝিয়ে দিলেন ঠাণ্ডা মেজাজের উইলিয়ামসন।
একটা দল টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। তবু তারা না-কি আন্ডারডগ। কথায়-বার্তায়, পরিস্থিতি আর ছন্দে তো তেমনই। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে কে এগিয়ে? একশোজনকে প্রশ্ন করলে আশিজনই বোধহয় এই মুহূর্তে স্বাগতিকদের কথাই বলবেন। ক্রিকেট ঐতিহ্য দূরে সরিয়ে সাম্প্রতিক ফর্ম ইংল্যান্ডকে ঢের এগিয়ে রাখার সুযোগ দিচ্ছে অবশ্য। তাও বিশ্বকাপ ফাইনালে কি কোনো দলকে পিছিয়ে রাখার সুযোগ থাকে?
কিন্তু সেই কথা যখন বাজারে কদর পেয়েই গেছে, তখন নিউজিল্যান্ড কি আন্ডারডগ হিসেবে তেতে ওঠার বারুদ দেখাতে চায়? উইলিয়ামসনও জানিয়ে দিলেন, ওসব ফেভারিট তকমা নিয়ে থাকুক না ইংল্যান্ড, মাঠের খেলা তারা জিততে চান পিছিয়ে থেকেই, ‘অনেক মানুষই নানান সময়েই এটা বলেছে (নিউজিল্যান্ড আন্ডারডগ)। যেটা আসলে ভালো। ইংল্যান্ড ফেভারিট তকমা পাওয়া ডিজার্ভ করে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই তারা ফেভারিট এবং ভালো ক্রিকেটও খেলছে। কিন্তু যেমন ডগই আমরা হই না কেন গুরুত্বপূর্ণ হলো, নিজেদের খেলার দিকে ফোকাস করা। কিন্তু আমরা অনেকদিন ধরেই দেখছি, যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে তা ডগের ধরন যেমনই হোক (হাসি)। ’
এর আগে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রস টেইলরও জানিয়েছেন, এই ‘আন্ডারডগ’ তকমা সানন্দে গায়ে চাপাতে রাজি তারা। আর ফেভারিট তকমা থেকে না-কি নিজেদের সরিয়ে রাখার সুবিধাই দেখছে নিউজিল্যান্ড।
উইলিয়ামসনকে আবার প্রশ্ন, তারা যদি কাল ইংল্যান্ডের জন্য প্রস্তুত করা উৎসবের মঞ্চ করে দেন পণ্ড। বাড়া ভাতে দিয়ে দেন ছাই। তবে কেমন অনুভূতি হবে। কিউই কাপ্তান জানালেন এখনি সব হিসাব করে ফেলাটা হয়ে যাচ্ছে বড্ড বাড়াবাড়ি, ‘আপনি কি আবার ডগ নিয়ে কথা বলছেন? আন্ডারডগস (হাসি)? দেখুন, আমরা উপলক্ষটা মাতিয়ে দেওয়ার জন্য সত্যিই মুখিয়ে আছি। এখনকার সময় আর শেষটার মধ্যে অনেক তফাৎ আছে। কাজেই এটা (আন্ডারডগ) নিয়ে বেশি মাতামাতি কোনো কাজে দেবে না। যখন আপনি কোনো ম্যাচ খেলতে যাবেন, তখন কতগুলো বিষয়ে ফোকাস করতে হয়। যেমন চাপই হোক, যেমন ভিন্ন মোমেন্টামই হোক- এসব সামলাতে হবে। আমরা তার জন্য পুরো প্রস্তুত আছি।’
Comments