আটকের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আওয়ামী লীগ নেতা

কক্সবাজার জেলার টেকনাফে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মুফিদ আলম (৩৯) নামে এক মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন।
gunfight logo
প্রতীকী ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কক্সবাজার জেলার টেকনাফে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মুফিদ আলম (৩৯) নামে এক মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন।

আজ (১৪ জুলাই) ভোররাত পৌনে ১টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়া বালিকা মাদ্রাসার পেছনে নাফ নদীর পাশে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ এর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি পুলিশের।

নিহত মুফিদ নয়াপাড়া গ্রামের মৃত নজির আহমদের ছেলে এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, “নিহত মুফিদ একজন চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারি। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে ছয়টি মামলা রয়েছে। মাদক উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে ১৩ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে নয়াপাড়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর মুফিদ জানায়, ইয়াবার একটি বড় চালান নয়াপাড়া বালিকা মাদ্রাসার পিছনে নাফ নদীর পাশে মজুদ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।”

“সেসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মুফিদের সহযোগী অস্ত্রধারী ইয়াবা চোরাকারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে এএসআই অহিদ উল্লাহ, কনস্টেবল রুবেল মিয়া ও মনির হোসেন আহত হন।”

“উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশও পাল্টা ৩৮ রাউন্ড গুলি চালায়,” উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “এক পর্যায়ে আটক মুফিদ আলম গুলিবিদ্ধ হন। অস্ত্রধারী মাদক চোরাকারবারিরা গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি করে বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে যাওয়া দুটি দেশীয় বন্দুক, ১০ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, এবং ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।”

“গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ মুফিদ আলমকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী বলেন, “মুফিদ আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় নেতা। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওয়ার্ড কমিটির সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন। তিনি দলের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। তার ৩ স্ত্রী ও ৫ ছেলে মেয়ে রয়েছে। ইয়াবা চোরাকারবারি বিএনপি-জামায়াত সব দলের মধ্যে রয়েছে। কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তার দায়ভার দল নেবে না।”

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago