‘দিলদারের খোঁজ নেন না চলচ্চিত্রের কোনো মানুষ’
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে কৌতুক অভিনেতা দিলদার। প্রায় পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই সবাইকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন তিনি। তাকে ছাড়া ১৬ বছর পার করছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র। দিলদারের উত্তরসূরী হিসেবে কাউকে এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি বাংলা সিনেমায়। দিলদারকে বাংলা সিনেমার দর্শকরা এখনও অনুভব করেন।
কৌতুক অভিনেতার জনপ্রিয়তা কমেনি একটুও। বাংলা চলচ্চিত্রের ‘কমেডি কিং’ হিসেবেই দর্শকদের হৃদয়ে রয়েছেন। দিলদার আমাদের মাঝে না থাকলেও রয়েছে তার পরিবার-পরিজন। মাত্র ৫৮ বছর বয়সে চলে যাওয়া সেই অভিনেতা রেখে গেছেন স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও দুই কন্যা মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজ।
দিলদার যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন তার বড় মেয়ের বয়স ২৫ বছর। এখন তিনি পেশায় একজন ডাক্তার। আর ছোট মেয়ে জিনিয়ার রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে। তার স্বামী মারা গেছেন। আগে চাকরি করে সংসার চালাতেন। পাঁচবছর চাকরির পর সেটিও ছেড়ে দেন। এখন কোনো চাকরি করছেন না।
দিলদারের বড় মেয়ে মাসুমা আক্তার দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “আমার বাবা জীবিত অবস্থায় আমার মা বুদ্ধি করে কাজ করেছিলেন যার ফল এখন ভোগ করছি। বাবা যা আয় করতেন আমার মা ওখান থেকে টাকা জমিয়ে সারুলিয়ায় (ডেমরা) একটা পাঁচতলা বাড়ি করেছেন। ওই বাড়িটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৯৪ সালে। এখন চারতলা পর্যন্ত ভাড়া দেওয়া এবং পাঁচ তলায় আমার মা মাঝে মধ্যে থাকেন। এছাড়া তিনি চাঁদপুর এবং ঢাকায় আমাদের দুই বোনের কাছেও থাকেন। আল্লাহর রহমতে আমার মায়ের শরীর ভালো আছে।”
তিনি আরো বলেন, “অথচ এখন অভিনেতা দিলদারের খোঁজ-খবর নেন না চলচ্চিত্রের কোন মানুষ। তার জন্মদিন ও মৃত্যু দিবস কোনো প্রকার স্মরণ ছাড়াই চলে যায়। আব্বা মারা যাওয়ার কয়েক বছর পরেও অনেকেই খোঁজ-খবর রাখতেন। এখন কেউ রাখেন না।”
Comments