পারদ দূষণেও বিপন্ন জনস্বাস্থ্য

বছরের পর বছর বাংলাদেশের অধিবাসীদের পেটে ঢুকছে নানারকম দূষিত বস্তু। যেমন, সার, ম্যালামাইন, ফরমালিন ও কার্বাইড। দিনে দিনে দীর্ঘ হচ্ছে সেই তালিকা।
Mercury

বছরের পর বছর বাংলাদেশের অধিবাসীদের পেটে ঢুকছে নানারকম দূষিত বস্তু। যেমন, সার, ম্যালামাইন, ফরমালিন ও কার্বাইড। দিনে দিনে দীর্ঘ হচ্ছে সেই তালিকা।

নতুন করে সেই তালিকায় উঠেছে নতুন এক ক্ষতিকর বস্তু। তার সেটি হচ্ছে পারদ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সমীক্ষায় বলা হয়, থার্মোমিটারে যে পারদ দেখা যায় তা এখন মাশকারা, রূপচর্চার ক্রিম এবং দাঁতের অ্যামালগাম থেকে চলে এসেছে আমাদের খাবারে।

এমনকী, বাতাসেও রয়েছে পারদের উপস্থিতি।

পণ্যে পারদের পরিমাণ কতোটুকু থাকবে তা নিয়ে সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। এছাড়াও, নিরাপদ থাকার জন্যে একটি পণ্যে বা যন্ত্রে কী পরিমাণের পারদ রাখতে হবে সে বিষয়েও কিছু বলা নেই।

যেমন, গত বছর দেশে ২ কোটি ৫০ লাখের বেশি সিএফএল বাল্ব এবং প্রায় ২০ লাখ ৫৬ হাজার টিউবলাইট বিক্রি করা হয়। কিন্তু, এর ব্যবহারকারীরা জানেনই না কীভাবে সেগুলোকে ধ্বংস করতে হবে। কেননা, সেসব বস্তুতে থাকা পারদ মাটি ও বাতাসে চলে আসছে।

এমন পরিস্থিতিতে, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপি এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণ সংস্থা ইউএনআইটিএআরের সহায়তায় প্রথমবারের মতো পরিবেশ অধিদপ্তর দেশে পারদ নিঃসরণের পরিমাপ নির্ণয় করে।

পরিবেশ অধিদপ্তর ২০১৮ সালের জুন থেকে এক বছর পারদের উপস্থিতি নিয়ে গবেষণা চালায়। সেসব কারণে পারদ নিঃসৃত হয় এবং তা কী পরিমাণে নিঃসৃত হয় তার পরিমাপ নির্ধারণের কাজ করা হয় সেই গবেষণার মাধ্যমে।

গবেষণাটিতে দেখা যায়, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ৩২ হাজার ৬৬০ কেজি পারদ নিঃসৃত হয়। এর মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসে বর্জ্য পোড়ানোর মাধ্যমে। প্রায় ২০ শতাংশ আসে থার্মোমিটারসহ মেডিকেল যন্ত্রপাতি, গবেষণাগার ইত্যাদি থেকে। আর ৮ শতাংশ আসে বিভিন্ন সাধারণ বর্জ্য ও অন্যান্য সূত্র থেকে।

এগুলোর প্রায় ৫৫ শতাংশ পারদ মিশে যায় বাতাসে এবং ১৩ শতাংশ মিশে পানিতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান জানান, মাটি দূষণের ফলে সেই দূষণ মাটি থেকে খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানুষ ও পশুর দেহে চলে আসছে।

“যেভাবে মাটি দূষিত হচ্ছে তা সীমা লঙ্ঘন করলে এক সময় প্রকৃতি প্রতিশোধ নিবে। আর তাই ঘটছে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। কেননা, আমরা খাবারে ও মানবদেহে ভারী ধাতব পদার্থের উপস্থিতি দেখতে পাচ্ছি,” যোগ করেন তিনি।

(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই Mercury pollution poses big threat লিংকে ক্লিক করুন)

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

26m ago