২০২৩ বিশ্বকাপেও খেলতে চান মুশফিক
বয়স বর্তমানে ৩২ বছর। আগামী বিশ্বকাপের সময় বেড়ে দাঁড়াবে ৩৬-এ। তবে বাংলাদেশ জাতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা তারকা মুশফিকুর রহিম মনে করছেন, চার বছর পরের ওই আসরেও দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন তিনি।
এরই মধ্যে চারটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন মুশফিক। এবারে তার লক্ষ্য, পঞ্চমবারের মতো ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে খেলা। সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান, ‘অবশ্যই, আমার একটি বড় পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আমি সিরিজ বাই সিরিজ চিন্তা করতে পছন্দ করি।’
‘সে অনুসারে আমি প্রস্তুত করি নিজেকে আর সে অনুসারে অনুশীলনও করি। যখন আপনি সিরিজ বাই সিরিজ চিন্তা করবেন, এটা আপনার ফর্ম ধরে রাখতে সাহায্য করে। যদি আপনি অনেক দূরের কিছু চিন্তা করেন, তখন ধারাবাহিকতা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়। ...আমার লক্ষ্য হলো ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলা।’
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। আসর শেষ করেছে অষ্টম স্থানে থেকে। সেখানে সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের পর টাইগারদের হয়ে সেরা কৃতিত্ব দেখান মুশফিক। ৩৬৭ রান নিয়ে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের চার নম্বর জায়গাটা নিজের করে রেখেছেন মুশি। বহুবার নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। একা হাতে ম্যাচ জিতিয়েছেন। ২০১৫ সালের শুরু থেকে বিবেচনা করলে তার ব্যাটিং গড় ৪৭.২১। ফলে দেশের সেরা তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম সেরা চার নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
এমন অবস্থানে আসতে পেরে মুশফিক বেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, ‘আপনি যদি চার নম্বর পজিশনের দিকে তাকান, আমার মনে হয়, এবারের বিশ্বকাপে আমি দুই নম্বরে ছিলাম (রান সংগ্রহের দিক থেকে, নিউজিল্যান্ডের রস টেইলরের পেছনে)।’
‘এটা বিশাল সন্তুষ্টির ব্যাপার। এটা আমাকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে, আরও বেশি সাফল্য অর্জন করতে ও আরও বেশি চ্যালেঞ্জ নিতে অনুপ্রাণিত করে। তাই আমি যা করেছি, তা নিয়ে আমি খুশি। যতটা আমি আশা করেছিলাম, ততটা হয়তো না। আমি কিছু ম্যাচে অবদান রেখেছিলাম যা আমাদের জিততে সাহায্য করেছিল।’
সূত্র: আইসিসি
Comments