ধর্ষণ মামলার বিচার ৬ মাসে শেষ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

high court
স্টার ফাইল ফটো

ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে সকল মামলা দায়ের হওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দেশের সকল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের প্রতি আদেশে হাইকোর্ট বলেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন আইন, ২০০০ এর ২০ ধারা অনুযায়ী এসব মামলার শুনানি শুরু হলে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে একটানা মামলা পরিচালনা করতে হবে।

আদালত বলেন, শুনানির দিন সাক্ষীর উপস্থিতি ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতি জেলায় একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন), সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটরের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠিত হবে।

পাবলিক প্রসিকিউটর কমিটির সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকবেন এবং কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতি মাসে সুপ্রিম কোর্ট স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাবেন। আদালত বলেন, ধার্য তারিখে রাষ্ট্রপক্ষ সংগত কারণ ছাড়া সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত করতে ব্যর্থ হলে মনিটরিং কমিটিকে জবাবদিহি করতে হবে।

দ্রুত সময়ে যাতে সাক্ষীদের সমন জারি করা যায় সে বিষয়টিও তদারকি করবে এই কমিটি।

ধার্য তারিখে সমন পাওয়ার পর অফিশিয়াল সাক্ষী যেমন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, ডাক্তার বা অন্যান্য বিশেষজ্ঞ সন্তোষজনক কারণ ছাড়া সাক্ষ্য প্রদানে উপস্থিত না হলে ট্রাইব্যুনাল ওই সাক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ এবং প্রয়োজনে বেতন বন্ধের আদেশ প্রদান বিবেচনা করবেন।

সাক্ষীদের সুরক্ষা দিতে অবিলম্বে আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন আদালত। আদালতের আশা সরকার খুব দ্রুততার সঙ্গে এই আইন প্রণয়ন করবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা পৃথক তিনটি মামলায় আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়। সেই সঙ্গে বগুড়ার অভিযুক্ত মো. রাহেল ওরফে রায়হান ও ঢাকার সেকান্দার আলীর জামিন আবেদন নাকচ করেন আদালত। তবে অনুরূপ অভিযোগের মামলায় নোয়াখালীর মো. সারোয়ার রুবেলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

Comments

The Daily Star  | English

ICT case: Hasina charged with crimes against humanity

ICT prosecution pressed formal charges against Sheikh Hasina in a case filed over crimes against humanity committed during July mass uprising

1h ago