রোগীর ছদ্মবেশে র্যাব: ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ১৯ দালাল আটক
নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকার ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল সন্দেহে ১৯ জনকে আটক করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত র্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে র্যাব রোগীর ছদ্মবেশে হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
আটককৃতদের মধ্যে যাচাই বাছাই করে নয় জনকে অপ্রয়োজনে হাসপাতালে না আসার মুচলেকা নিয়ে এবং একজন অসুস্থ থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়। আর বাকী নয় জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত দালালরা হলেন: দুলাল হোসেন, মঞ্জুরুল ইসলাম, ফরিদ, আব্দুল খালেক, রিপন, ইব্রাহীম, বাদল মিয়া, মাকসুদা ও আব্বাস উদ্দিন। এদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসুমী মান্নান ও শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন। আর সহযোগিতায় ছিলেন ৩০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সামসুদ্দৌহা।
র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, “বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালরা হাসপাতালে রোগীদের হয়রানি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে হাসপাতালে প্রথমে সাদা পোশাকে রোগী সেজে সন্দেহভাজনদের ওপর নজর রাখা হয়। এদের মধ্যে আজ ১৯ জনকে আটক করা হয়। ১০ জন নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, কৌশলে সরকারি হাসপাতাল থেকে তারা রোগীদের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যেতেন। এদের মধ্যে একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এক নারীসহ অপর নয় জনকে সাত দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি নয় জন ভবিষ্যতে অপ্রয়োজনে হাসপাতালে আসবেন না এবং রোগীদের বিরক্ত করবেন না এ মর্মে মুচলেকা দিলে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানালে আমরা অন্য হাসপাতালগুলোতেও তাদের সহযোগিতা করব। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Comments