এবার জেরার মুখে বসেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
জেরার মুখে বসলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আজ (১৯ জুলাই) ভারতীয় সময় সকাল ১১টায় সল্টলেকের এনফোর্সম্যান্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি’র দপ্তরে উপস্থিত হন ওই অভিনেতা।
সেসময় তার সঙ্গে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং আরো দুজনকে দেখা যায়।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় গাড়িতে নেমে দ্রুত ভেতর প্রবেশ করেন। তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জেরা শেষে ফেরার পথে সব বলবেন।
২০১৩ সালে ভারতের আলোচিত বেআইনি অর্থলগ্নিকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণায় বেশ কয়েকটি সংস্থাকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হয়। রোজভ্যালি, সারদা গ্রুপসহ প্রায় শতাধিক সংস্থা বাজার থেকে নানা প্রকল্পের কথা বলে কমপক্ষে ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলেছে বলেও অভিযোগ উঠে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, রোজভ্যালি সংস্থার সঙ্গে বেশ কিছু কাজ করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং তার সংস্থা। প্রায় ৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে তাদের সঙ্গে। সে বিষয়ে দু-সপ্তাহ আগে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নোটিশ পাঠানো হয়েছিলো। সেই নোটিশ পেয়েই আজ ই-ডি দফতরে গোয়েন্দাদের জেরার মুখে বসেছেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
ওদিকে গতকাল প্রায় ৮ ঘণ্টা জেরা করা হয় আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। সকাল ১১টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত জেরার মুখে নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ওই অভিনেত্রীও। তার নিজের প্রতিষ্ঠান ‘ভাবনা আজ ও কাল’- এর সঙ্গেও প্রায় ৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিলো বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। সেই লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত করতেই তাকে ডাকা হয়েছিলো।
সূত্রের খবর, ওই অভিনেত্রীর উত্তরের মোটেও সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। আবারও ঋতুপর্ণাকে ডাকা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
যদিও গতকালের জেরা-পর্ব শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপস্থিত সাংবাদিকদের ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। তাকে আর ডাকা হবে না। কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিলো, সেগুলোর উত্তর দেওয়া হয়েছে। এবং প্রশ্নের উত্তরও গোয়েন্দারা বুঝেছেন বলে দাবি করেন অভিনেত্রী।
ভারতের অর্থ সংক্রান্ত অপরাধের তদন্ত করে এই এনফোর্সম্যান্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ইতিমধ্যে ইডি আরো বেশ কয়েকজন সেলিব্রেটিকেও নজরে রেখেছে বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করছে।
Comments