ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত ২ ব্যক্তির মৃত্যু
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত পরিচয় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ (২০ জুলাই) সকালে পৃথক এই দুটি ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম আমাদের সংবাদদাতাকে জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৩০ বছর বয়সী এক নারীকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় জনতা। এতে তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি আরও জানান, ওই নারীর চলাফেরা ‘সন্দেহজনক’ মনে হওয়ায় স্থানীয়রা ধারণা করেছিলেন যে তিনি ওই এলাকায় শিশুদের অপহরণ করতে এসেছিলেন।।
ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত পরিচয় (২৫) এক যুবক নিহত হয়েছেন। সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাগলাবাড়ির সামনে ওই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয় সাদিয়া (৬)। পরে অজ্ঞাত ওই যুবক সাদিয়াকে কোলে করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সাদিয়া ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুরু করে। এতে এলাকাবাসী ছেলে ধরা সন্দেহে অজ্ঞাত যুবককে গণপিটুনি দেয় এবং সাদিয়াকে উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।
উদ্ধারকৃত শিশু সাদিয়া একই এলাকার রাজমিস্ত্রি সোহেল মিয়ার কন্যা। সে মিজমিজি আলামিননগর এলাকার আইডিয়াল ইসলামিক স্কুলের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।
৩০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার শাহাদাত হোসেন জানান, সম্প্রতি গলা কাটা বা ছেলে ধরার যে গুজব ছড়িয়েছে এ সন্দেহে ওই যুবককে গণপিটুনি দেওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার মাথায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে, মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জসীম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Comments