[ভিডিও ] আবার আলোচনায় প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা

নব্বই দশকের আলোচিত জুটি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আবার আলোচনায়।

২০১৬ এবং ২০১৮ সালে তারা আলোচনায় এসেছিলেন ‘প্রাক্তন’ ও ‘দৃষ্টিকোণ’ ছবিতে জুটি বেঁধে ফিরে আসায়। তবে এবারের আলোচনার কারণ ভিন্ন!

দু-জনের বিরুদ্ধেই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন ভারতের কেন্দ্রীয় আর্থিক-অপরাধের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সম্যান্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির গোয়েন্দারা।

আর সে কারণে এই দুই শীর্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রীকে জেরার মুখে বসতে হয়েছে। জবাব দিতে হয়েছে তাদের সংস্থার সঙ্গে রোজভ্যালি নামের বেআইনি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক কী ছিলো? কেমন ছিলো তাদের সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর সম্পর্ক। কতোবার তারা বিদেশ গিয়েছেন। কতো টাকার লেনদেন হয়েছে। ওই টাকা কোন খাতে তারা খরচ করেছেন।

গত ১৮ জুলাই, ভারতীয় সময়ে সকাল তখন সোয়া ১১টা। কালো রংয়ের চওড়া সানগ্লাস ও হালকা হলুদ-সাদায় মিশেল লং সালওয়ার পড়ে ঋতুপর্ণা প্রবেশ করেন সল্টলেকের সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা দফতরে। সঙ্গে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার বিকাশ বাবু। প্রায় ৮ ঘণ্টা জেরার পর তিনি ফিরেন রাত সাড়ে সাতটায়। জেরার মুখে কিছুটা বিপর্যস্ত মনে হলেও সামলে নিয়ে কৌশলী জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী। বলেছেন, কিছু তথ্য গোয়েন্দাদের জানার ছিলো। সে বিষয়ে তিনি তাদের বলেছেন। এমনকী, গোয়েন্দারা তার সব উত্তর শুনে বুঝে গিয়েছেন এবং সমস্যা মিটে গিয়েছে। এই বলে ক্যামেরার সামনে অভিনেত্রী সুলভ পোজ দিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরেন।

পরদিন ১৯ জুলাই প্রায় একই সময় কালো কাঁচে ঘেরা ভিআইপি স্টিকার সাঁটানো গাড়ি থেকে নামেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ। সাদা টি-শার্ট পড়ে গাড়ি থেকে নেমেই কিছু বলবো না বলে জানিয়ে দ্রুত গোয়েন্দা দপ্তরে প্রবেশ করেন। প্রায় আট ঘণ্টা জেরার মুখে বসে তিনিও ফেরেন সন্ধ্যার পর। তখন বলেন, ভারতীয় নাগরিক হিসেবে তিনি যেকোনো তদন্তে সহযোগিতা করবেন।

সেদিনও তাই করেছেন। তার সংস্থার সঙ্গে রোজভ্যালি যে আর্থিক সম্পর্ক ছিলো সেসব কাগজপত্র গোয়েন্দারা দেখতে চেয়েছেন তা তিনি স্বীকার করেন। তিনি গোয়েন্দাদের সহযোগিতা করেছেন বলেও যোগ করেন।

২০১৩ সালে ভারতের আলোচিত আর্থিক দুনীতির খবর প্রকাশ্যে আসে। রোজভ্যালি, সারদা নামের সংস্থা ছাড়া আরো বহু সংস্থা সাধারণ আমানতকারীর কাছ থেকে চড়া সুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে আর ফেরত দেয়নি। ওই দুটি সংস্থার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস, প্রাক্তন বামফ্রন্ট সরকারের বহু মন্ত্রীর যোগাযোগ থাকার অভিযোগ উঠছে। শুধু তাই নয়, বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এসব সংস্থার হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। তাদের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও হয়েছেন অনেকেই।

কেন্দ্রীয় সরকার এই আর্থিক অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেরার মুখে পড়তে হয়েছে এক সময়ের আলোচিত চলচ্চিত্রের জুটি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাকেও।

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

6h ago