দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও টাই-ব্রেকারে জিতল রিয়াল
ম্যাচের শুরুতেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধের ফলাফল থাকে তাই। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। শোধ করে দুই গোলই। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে। সেখানে ৩-২ গোলের ব্যবধানে আর্সেনালকে হারিয়েছে জয়ের ধারায় ফিরেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
আগের ম্যাচে গ্যারেথ বেলের না খেলা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। কোচ জিনেদিন জিদান তো তাকে দল ছেড়ে চলে যাওয়ার কথাই বলেছেন। তবে এদিন দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছেন ওয়েলস তারকা। তার ঝলকেই ম্যাচে প্রাণ পায় দলটি। দারুণ এক গোল করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা তিনি যে এখনও দলের ট্রাম্পকার্ড হতে পারেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন কোচকে।
আগের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে পাত্তায় পায়নি রিয়াল। এদিন অবশ্য বেশ গোছানো ফুটবল খেলে তারা। যদিও ম্যাচের ৯ মিনিটেই বড় ধাক্কা খায় দলটি। ডি-বক্সে ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল করে লাল কার্ড দেখেন নাচো। পেনাল্টি পায় আর্সেনাল। আর সে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে নিতে কোন ভুল করেননি আলেকজান্ডার লাকাজাতে। ২৪ মিনিটে পিয়েরে-এমেরিক আউবামেয়াংয়ের গোলে ব্যবধান বাড়ায় দলটি।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে সক্রেটিস পাপাস্টাথপউলস দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আর্সেনালও। আগের ম্যাচের মতো দ্বিতীয়ার্ধে পুরো একাদশ বলদে ফেলেন কোচ জিনেদিন জিদান। গ্যারেথ বেল, মার্কো আসেনসিওদের আগমনে দলটি যেন জ্বলে ওঠে। ৫৬ মিনিটে ব্যবধান কমান বেল। এর তিন মিনিট পর সমতাসূচক গোলটি করেন আসেনসিও।
এরপর আর গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে। তাই-ব্রেকারে অবশ্য লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন বেল। অন্যদিকে আর্সেনালের গ্রানিট জাকা, নাচো মনরিয়েল ও রবি বারটন মিস করেন। ফলে একটি শট বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় রিয়াল।
Comments