তামিম-সাকিবের পর ছয় হাজারি ক্লাবে মুশফিক
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ২০০৬ সালে একই ম্যাচ দিয়ে শুরু করেছিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ার, তামিম ইকবালের গায়ে বাংলাদেশের জার্সি ওঠে তারও কয়েক মাস পরে। এই দুজনের চেয়ে ম্যাচও তিনি বেশি খেলেছেন। তবে লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করতে হয়েছে লম্বা সময়। সেকারণেই কি-না দুই সতীর্থের তুলনায় মাইলফলক স্পর্শ করতে কিছুটা দেরি হলো ৩২ বছর বয়সী মুশফিকুর রহিমের!
তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ছয় হাজার রান পূর্ণ করলেন মুশফিক। রবিবার (২৮ জুলাই) কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিং করছে টাইগাররা। ব্যাট হাতে নামার আগে ব্যক্তিগত অর্জন থেকে মাত্র ৮ রান দূরে ছিলেন মুশফিক। ইনিংসের নবম ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ে ক্রিজে আসেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। দল চাপে থাকায় ব্যাটিং করছেন দেখেশুনে। তাইতো মাইলফলকে পৌঁছাতে খেলতে হলো ২০টি বল। ১৫তম ওভারে লঙ্কান স্পিনার আকিলা দনঞ্জয়ার দ্বিতীয় বলটি স্কয়ার লেগে ঠেলে এক রান নিয়ে তামিম-সাকিবের সঙ্গী হয়ে যান মুশফিক।
ক্যারিয়ারের ২১৫তম ম্যাচের ২০১তম ইনিংসে ছয় হাজারি ক্লাবে নাম লেখালেন মুশি। বাংলাদেশের হয়ে সবার আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম। তিনি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছয় হাজার রান ছুঁয়েছিলেন। সেজন্য তাকে খেলতে হয়েছিল মাত্র ১৭৫ ইনিংস (১৭৭ ম্যাচ)। আর গেল মাসে বিশ্বকাপ চলাকালে তামিমের সঙ্গী হন সাকিব। বাঁহাতি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ছয় হাজারে যেতে খেলেন ১৯০ ইনিংস (২০২ ম্যাচ)।
হারারেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। মাত্র ১৯ বছর বয়সে। ওই ম্যাচে অবশ্য উইকেটের পেছনে গ্লাভস-প্যাড পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়নি তাকে। খেলেছিলেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে।
এক নজরে মুশফিকের ছয় হাজার:
০ থেকে ১০০০: ৫৫ ইনিংস
১০০১ থেকে ২০০০: ৪২ ইনিংস
২০০১ থেকে ৩০০০: ২৮ ইনিংস
৩০০১ থেকে ৪০০০: ২৫ ইনিংস
৪০০১ থেকে ৫০০০: ২৬ ইনিংস
৫০০১ থেকে ৬০০০: ২৫ ইনিংস।
Comments