গুজবে কান দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী

pm sheikh hasina
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

কোন প্রকার গুজবে কর্ণপাত না করে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিবর্গকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দয়া করে কেউ গুজবে কান দেবেন না এবং আইনকে নিজের হাতে তুলে নেবেন না, বরং যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের পুলিশে সোপর্দ করুন।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (৩০ জুলাই) সকালে লন্ডন থেকে এক টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে এ কথা বলেন।

এক সরকারি সফরে বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত শেখ হাসিনা তার এদিনের ভাষণে মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচার জন্য দেশবাসীকে তাদের বাড়ি-ঘর এবং চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও আহ্বান জানান।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটি স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে।”

তিনি বলেন, “গুজব ছড়িয়ে একজন মাকে পিটিয়ে মেরে ফেললো, আজ সেই মায়ের শিশুটির কী অবস্থা?”

“কাজেই সকলের কাছে আমার আবেদন-আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। যদি আপনারা কাউকে দোষী মনে করেন, তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলার দরকার নেই বরং তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিন”, যোগ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গুজব শুনে কোন নিরপরাধ মানুষকে মেরে ফেলা গর্হিত কাজ, এটা হত্যাকাণ্ডের শামিল।”

এ প্রসঙ্গে তিনি পত্র-পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে জনগণকে বিভ্রান্ত না করার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, “এ বিষয়ে পত্র-পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাছে আমার একটা অনুরোধ, প্রকৃত ঘটনা না জেনে সংবাদ পরিবেশন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না।”

Comments

The Daily Star  | English

JnU protests called off

Students and teachers of Jagannath University called off their protest last night after receiving assurances from the government that their demands would be met.

1h ago