কক্সবাজারে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ ‘মাদক চোরাকারবারি’ নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. ইব্রাহিম (২০) নামে এক ‘মাদক চোরাকারবারি’ নিহত হয়েছেন।
গতকাল (৩০ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়ার কুড়াবুজ্জা পাড়ার নৌঘাট এলাকায় ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমমোড়া এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনাস্থল থেকে ২০ হাজার ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, দুটি তাজা কার্তুজ, দুটি ধারালো কিরিচ এবং নিবন্ধনবিহীন একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করার কথা জানিয়েছে বিজিবি। বিজিবির দাবি, নিহত ইব্রাহিম মাদক চোরাকারবারি ছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।
তিনি জানান, রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে টেকনাফের দিকে তিন-চারজন যাত্রীসহ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আসছিলো। বিজিবির খুরেরমুখ তল্লাশি চৌকিতে দায়িত্বরত দল অটোরিকশাটিকে থামার সংকেত দিলে চালক সংকেত না মেনে পালানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে দুই কিলোমিটার দূরের বিজিবির আরেকটি টহল দলকে জানানো হলে তারা মেরিন ড্রাইভ সড়কের ওপর শক্ত অবস্থান নেয়। ওই সময় বিজিবিকে লক্ষ্য করে অটোরিকশা থেকে গুলি চালানো হলে বিজিবির দুই সদস্য আহত হন। তখন বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়। তিন-চার মিনিট ‘গোলাগুলির’ পর ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে খোঁজখবর নিয়ে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়।
নিহত ইব্রাহিমের মরদেহের ময়নাতদন্ত কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে সম্পন্ন করা হয়েছে। বিজিবি বাদী হয়ে এই ঘটনায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। মারা যাওয়ার আগে ইব্রাহিম তার তিন সঙ্গী নুর হোসেন, আবুল কাশেম ও মো. তাহেরের নাম বলে গেছেন। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Comments