মানিকগঞ্জে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

মানিকগঞ্জে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। গত ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়ে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ছয়জন। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়েছে পাঁচজনকে। অন্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Manikganj dengue
৩১ জুলাই ২০১৯, ডেঙ্গু রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. লুৎফর রহমান। ছবি: স্টার

মানিকগঞ্জে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। গত ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়ে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ছয়জন। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়েছে পাঁচজনকে। অন্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতঙ্ক বেড়েছে মানুষের মধ্যে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন।

সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১০ জন। এর পর থেকে আজ (৩১ জুলাই) সকাল নয়টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন আরও ছয়জন।

হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও রিএজেন্ট সুবিধা না থাকায় বিপাকে পড়েছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা। এ কারণে বাইরে গিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্যাথলজি সেন্টার থেকে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে তাদের।

জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল আওয়াল বলেন, “আগে থেকে হাসপাতালে সরকারিভাবে ডেঙ্গু পরীক্ষার কোনো প্যাথলজিক্যাল কিট ও রিএজেন্ট ছিলো না। ডেঙ্গু রোগী আসা শুরু করলে প্রথম পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের বিশেষ অনুদানে কিছু কিট ও রিএজেন্ট কেনা হয়। গত এক সপ্তাহের পরীক্ষায় সেগুলো শেষ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এখনও প্রয়োজনীয় কিট ও রিএজেন্ট আসেনি। তবে খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।”

জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. লুৎফর রহমান বলেন, “ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা দুইটি ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। তাদের চিকিৎসায় সার্বক্ষণিক চারজন ডাক্তার নিয়োজিত রয়েছেন।”

সরকারি সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, তারা আন্তরিকভাবে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় এবং রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় সামান্য জ্বর ও ঠাণ্ডা কাশি নিয়েও অনেকে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় করতে হাসপাতালে যাচ্ছেন। এ কারণে হাসপাতালে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে। বিপুল সংখ্যক ব্যক্তির রোগ নির্ণয় করতে তাদের অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, “ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, পৌরসভা, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও জনসমাবেশসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।” 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago