তামিমের উচিত খুব ভালো একটা বিশ্রাম নেওয়া: সাকিব
বিশ্বকাপটা তামিম ইকবালের একেবারেই ভালো যায়নি। ব্যর্থ হয়েছিলেন ব্যাট হাতে। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে তার কাঁধে ওঠে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব। নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা তামিম এই বাড়তি দায়িত্বের চাপ সামলাতে না পেরে হয়ে পড়েন আরও বিবর্ণ। তিন ম্যাচে করেন যথাক্রমে ০, ১৯ ও ২ রান। এই ফর্মহীন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দেশসেরা ওপেনারকে ‘বিশ্রাম’ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতামূলক একটি কার্যক্রমে অংশ নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এমন সময় একজন ক্রিকেটারের যেতেই পারে। আমার মনে হয়, ওর (তামিমের) জন্য এখন উচিত হবে খুব ভালো একটা বিশ্রাম নেওয়া। নিজের ছন্দ ফিরে পাওয়া, টগবগে হওয়া এবং দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো। আমি নিশ্চিত, ও এটা করবে।’
‘বিশ্রাম’ কেন জরুরি সে বিষয়ে নিজের কিছু যুক্তি তুলে ধরেন বাঁহাতি তারকা, ‘আমি একটা বিষয় বিশ্বাস করি, আমার ব্যক্তিগত ধারণা যে, একজন খেলোয়াড়ের তখনই খেলা উচিত, যখন সে তৈরি থাকে। যখন তৈরি না থাকে কেউ, তখন খেলা উচিত না। পুরো ফিট না থাকলেও খেলা উচিত না। আমি মনে করি, পারফরম্যান্সের ওপর বড় ভূমিকা রাখে আপনি কতটা ফিট কিংবা কতটা আনফিট।’
নিজের বক্তব্যকে জোরালো করতে সাকিব টেনে আনেন প্রতিবেশী ক্রিকেট পরাশক্তি ভারতের উদাহরণ, ‘যখন কোনো খেলোয়াড় বলে তার নিজের বিশ্রাম নেওয়া উচিত বা কোচিং স্টাফ বলে তার বিশ্রাম নেওয়া উচিত, তখন খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের উভয় পক্ষের তা বোঝা উচিত। আমি ভারতের গেল চার বছরের পরিসংখ্যানটা বলতে পারি, ওদের দলের সবচেয়ে কম খেলোয়াড় চোটে পড়েছে। কারণ ওরা বাই রোটেশন (ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে, বিশ্রাম দিয়ে) পদ্ধতিতে খেলেছে। এতে ওদের অনেক খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে, অনেক নতুন খেলোয়াড়ের আবির্ভাব ঘটেছে। একই সময়ে ওদের যে খেলোয়াড় যখন খেলার সুযোগ পেয়েছে, সে তখন টগবগে অবস্থায় পারফর্ম করতে পেরেছে।’
‘বিশ্রাম’ দেওয়া-নেওয়া নিয়ে যেন কোনো ভুল বোঝাবুঝি বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে বিষয়ের ওপরও গুরুত্ব দেন লঙ্কান সিরিজে ‘বিশ্রাম’ নেওয়া সাকিব, ‘আপনারা দেখেন, বিরাট কোহলিসহ সবাইকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কোনো না কোনো ফরম্যাটে, কোনো না কোনো সিরিজে সবাই বিশ্রাম পেয়েছে। এই বিষয়টা আমাদের বুঝে কাজ করতে হবে। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, বোর্ড- তিন বিভাগকেই এটা বুঝতে হবে। তা না হলে সমন্বয়ের অভাব হবে। কারণ যদি তথ্যগুলো ঠিকভাবে পরিবেশিত না হয় তবে এটা নিয়ে সমালোচনা বা অনেক নেতিবাচক কথা-বার্তা তৈরি হতে পারে।’
Comments