পরবর্তী তিন-চার বছরের জন্য পরিকল্পনার তাগিদ অনুভব করছেন সাকিব
বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পর শ্রীলঙ্কা সিরিজেও ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের। এর কারণ খুঁজতে গেলে পাওয়া যাবে বেশ কয়েকটি। নিয়মিত একাদশের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে স্কোয়াডে থাকা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের ফর্মহীনতা, দুর্বল বোলিং ও ফিল্ডিং পারফরম্যান্স। যে ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তাক লাগিয়ে দিয়েছিল, লঙ্কানদের বিপক্ষে তা ছিল একেবারে সাদামাটা মানের। বিশ্বকাপের পরপরই প্রধান কোচ স্টিভ রোডস বিদায় নেওয়ায় অন্তর্বর্তী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের অধীনেই লঙ্কাদ্বীপে খেলতে হয়েছে দলকে। তিনি ইতিবাচক কিছু করে দেখাতে পারেননি। সবমিলিয়ে বেশ কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির গ্রাফটা বেশ ঊর্ধ্বমুখী। ওই আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার পর ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলে টাইগাররা। সবশেষ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে পঞ্চম স্থানে থেকে আসর শেষ করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু তা হয়নি, উল্টো সেমির লক্ষ্য নিয়ে গিয়ে অষ্টম হয়ে ফিরতে হয়েছে ইংল্যান্ড থেকে। এরপর লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে বিবর্ণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে বেজায় হতাশ ‘বিশ্রামে’ থাকা সাকিব আল হাসান। কেননা ফলগুলো বলে দিচ্ছে, উন্নতির গ্রাফে হঠাৎ ছেদ পড়েছে। সেটা উপলব্ধি করে বিশ্বকাপে চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করা বাঁহাতি তারকা অলরাউন্ডার তাগিদ অনুভব করছেন একটি পরিকল্পনার, যার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে যাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাংবাদিকদের কাছে সাকিব বলেন, ‘আমরা যখন বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলিনি (ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায়), তখন সবাই ভেবেছে আমাদের দুই পয়েন্ট নিশ্চিত ছিল। কিন্তু এই সিরিজেই প্রমাণ হয়েছে যে, তা নিশ্চিত ছিল না। অর্থাৎ বিশ্বকাপে হয়তো জিততেও পারতাম, হারতেও পারতাম। এই সিরিজের কথা যদি বলি, তাহলে খুবই হতাশাজনক। সিরিজ হারলেও আমরা একটা ম্যাচও যদি জিতে আসতাম, তাহলে আমাদের আত্মবিশ্বাসের জন্য তা সহায়ক হতো। কিন্তু তা হয়নি।’
তিনি যোগ করেন, ‘হয়তো এখন সময় এসেছে ভালোভাবে চিন্তা করে পরবর্তী তিন-চার বছরের জন্য একটা পরিকল্পনা করা। এখন সময় এসেছে। আমি নিশ্চিত যে, বিসিবিতে যারা দায়িত্বে আছেন, তারা এটা নিয়ে ভাবছেন। এরই মধ্যে দুজন কোচও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হয়তো পুরো কোচিং স্টাফ একসঙ্গে হলে এটা নিয়ে তারা পরিকল্পনা করবেন এবং বোর্ডকে তা দিতে পারবেন। আমার মনে হয় যে, তাহলে আমাদের ক্রিকেট গত চার-পাঁচ বছরে যতদূর এগিয়ে এসেছে সে অবস্থান থেকে সামনের দিকে আরও আগাবে।’
Comments