ডেঙ্গু পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলায়

Dengu patient in WB
পশ্চিমবঙ্গের একটি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত নারী। ছবি: স্টার

বর্ষার সময়ে প্রায় প্রতি বছরের মতোই এবারও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ছে। রোজই জ্বর আক্রান্তের খবর মিলছে গণমাধ্যমে।

গতকাল (১ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের পাওয়া তথ্য বলছে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আসা তথ্য অনুযায়ী ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০। আর মৃত্যুর কোনো খবর নেই সরকারের কাছে।

যদিও বেসরকারি হিসাব বলছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা স্বীকার না করা হলেও বেশ কয়েকজনেরই মৃত্যুর খবরও দিচ্ছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

ওদিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতিকেই দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল কলকাতার অদূরের যাদবপুরে নজরুল মঞ্চে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খুব খারাপ বলেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছ থেকে শুনেছি। বাংলাদেশের এই অবস্থা দেখে আমাদেরও সচেতন হওয়া এবং রক্ষাকবচ নেওয়া উচিত। বাংলাদেশ যেহেতু আমাদের সীমান্ত। বাংলাদেশে কিছু হলে সীমান্ত দিয়ে এই রাজ্যেও তার প্রভাব পড়ে। কিছু জিনিস আছে আটকানো যায় না। এডিস মশা কামড় দিয়ে বাংলাদেশে চলে গেলো কিংবা বাংলাদেশে কামড় দিয়ে এদেশে চলে এলো। তাই আমাদের এই বিষয়ে এখনই সচেতন হতে হবে।

জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত মহকুমার অন্তর্গত হাবড়াতে ইতিমধ্যেই অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীদের স্বজনদের তুমুল ঝামেলাও বাধে দুদিন আগে।

এমন অবস্থায় সেখানে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্য সরকারের খাদ্যমন্ত্রীকে এই ডেঙ্গু মোকাবেলায় সরাসরি দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সব ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সচেতনতাও বাড়াতে হবে। তবে এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।

জেলা প্রশাসক চৈতালী চক্রবর্তী জানান, রাজ্য সরকারের নিয়মিত যে প্রকল্প আছে সেই প্রকল্প দিয়েই বর্ষাজনিত যে সব মশাবাহিত রোগ হয় তার প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাবড়ার ডেঙ্গু আক্রান্তের বিষয়ে সার্বক্ষণিক তৎপরতা রয়েছে জেলা প্রশাসনের।

প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ছাড়াও রাজ্যটির নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদার বেশকিছু এলাকায় ডেঙ্গুর প্রভাব দেখা দিয়েছে। তবে রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় এখনও ডেঙ্গু কিংবা অজানা জ্বরের তেমন কোনো খবর নেই।

Comments

The Daily Star  | English
bad loans rise in Bangladesh 2025

Bad loans hit record Tk 420,335 crore

It rose 131% year-on-year as of March of 2025

13h ago