স্মিথের রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে জিতল অস্ট্রেলিয়া

রূপকথার গল্পের মতো প্রত্যাবর্তন করেন অসি তারকা স্টিভ স্মিথ। প্রথম ইনিংসে রীতিমতো খাঁদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন। শুধু তাই দ্বিতীয় ইনিংসেও মূল নায়ক তিনিই। তার সেঞ্চুরিতেই ইংলিশদের সামনে বড় লক্ষ্য দ্বার করাতে পারে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বল হাতে ঘূর্ণির মায়াজাল বিছান নাথান লাওন। তাতেই পুড়ে ছারখার ইংল্যান্ড। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ২৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয় টিম পেইনের দল।
steve smith
স্টিভেন স্মিথ। ছবি: এএফপি

রূপকথার গল্পের মতো রাজকীয় বেশে প্রত্যাবর্তন করেন অসি তারকা স্টিভ স্মিথ। প্রথম ইনিংসে রীতিমতো খাঁদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন। শুধু তাই দ্বিতীয় ইনিংসেও মূল নায়ক তিনিই। তার সেঞ্চুরিতেই ইংলিশদের সামনে বড় লক্ষ্য দ্বার করাতে পারে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বল হাতে ঘূর্ণির মায়াজাল বিছান নাথান লাওন। তাতেই পুড়ে ছারখার ইংল্যান্ড। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ২৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয় টিম পেইনের দল।

অথচ শুরুটা কতো বিবর্ণ ছিল অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ইনিংসে এক পর্যায়ে মাত্র ১২২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল দলটি। সেখান থেকে দারুণ সেঞ্চুরিতে রাজার মতো প্রত্যাবর্তন করেন স্মিথ। এরপর রোরি বার্নসের সেঞ্চুরিতে বড় লিডই নিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আবারো ইংলিশদের ভোগান স্মিথ। তার আরও একটি সেঞ্চুরিতে ৩৯৮ রানের বড় লক্ষ্যই দেয় অসিরা। সে লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।

আগের দিন বিনা উইকেটে ১৩ রান তুলেছিল স্বাগতিকরা। এদিন স্কোরবোর্ডে আর ৬ রান যোগ করতেই আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান বার্নসকে হারায় দলটি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক জো রুটের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার জেসন রয়। কিন্তু লাওনের বলে বোল্ড হলে আবার চাপে পড়ে যায় দলটি। এমনকি দ্বিতীয় উইকেটের জুটিটিই ছিল ম্যাচের সর্বোচ্চ জুটি।

মূলত লাওনের ঘূর্ণিতে ধসে পড়ে ইংলিশদের ব্যাটিং। অবশ্য কম তোপ দাগাননি প্যাট কামিন্সও। এ দুই বোলারের কাছেই আত্মসমর্পণ করে ইংলিশরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫২.৩ ওভারে ১৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি।

শেষ দিকে অবশ্য ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন ক্রিস ওকস। মইন আলির সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। নিজে করেছেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান। কিন্তু তার লড়াই কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ওকস ছাড়া রয় ও রুট ২৮ রান করে করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৪৯ রানের খরচায় ৬টি উইকেট নিয়েছেন লাওন। ৩২ রানের বিনিময়ে ৪টি শিকার কামিন্সের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২৮৪

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৭৪

অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৪৮৭/৭ (ডিক্লেয়ার)

ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৯৮) ৫২.৩ ওভারে ১৪৬ (বার্নস ১১, রয় ২৮, রুট ২৮, ডেনলি ১১, বাটলার ১, স্টোকস ৬, বেয়ারস্টো ৬, মইন ৪, ওকস ৩৭, ব্রড ০, অ্যান্ডারসন ৪*; সিডল ০/২৮, লায়ন ৬/৪৯, প্যাটিনসন ০/২৯, কামিন্স ৪/৩২, স্মিথ ০/০)।

ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ২৫১ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: স্টিভ স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago