এডিস মশা নিধনে ধোঁয়া অকার্যকর: ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রধান কীটতত্ত্ববিদ ডা. ভুপেন্দর নাগপাল বলেছেন, মেশিনের মাধ্যমে রাস্তায় ধোঁয়া দিয়ে এডিস মশা মারা যাবে না।
৫ আগস্ট ২০১৯, রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথভাবে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা. ভুপেন্দর নাগপাল। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রধান কীটতত্ত্ববিদ ডা. ভুপেন্দর নাগপাল বলেছেন, মেশিনের মাধ্যমে রাস্তায় ধোঁয়া দিয়ে এডিস মশা মারা যাবে না।

মশা নিধনে অ্যারোসলের ব্যবহার বেশি কার্যকর হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পুরোপুরিভাবে ধোঁয়া ব্যবহারের সুপারিশ বন্ধ করে দিয়েছে... সমস্যা হলো এ মশা ধোঁয়ার মধ্যে আসে না, তারা শহরের বাড়িগুলোর ভেতরেই থেকে যায়।”

গতকাল (৫ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথভাবে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. নাগপাল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “ধোঁয়ার মধ্যে ৯৫ শতাংশ তেল (ডিজেল, কেরোসিন ইত্যাদি) আর পাঁচ শতাংশ কীটনাশক রয়েছে। এ মশাগুলো (এডিস) ঘরবাড়ির ভেতরে থাকে, ফলে রাস্তায় ধোঁয়া প্রয়োগ করে তাদের কিছু হয় না।”

ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস ইজিপ্টির পানিতে ডিম দেওয়াকে প্রচলিত মিথ বলে আখ্যায়িত করেন কীটতত্ত্ববিদ নাগপাল।

তিনি বলেন, এ মশাগুলো খুবই চতুর। একটি নারী এডিস মশা পাত্রের ওপরের অংশে ডিম দেয়। অনুকূল পরিস্থিতিতে এ ডিমগুলো এক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।

এডিস মশার জন্মের জন্য দুই মিলিলিটার পানি পর্যাপ্ত উল্লেখ করে ডা. নাগপাল বলেন, পরিত্যক্ত ও অবহেলিত এলাকাগুলোতে সাধারণত এরা জন্ম নেয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডেঙ্গু হুমকি দূর করার জন্য মানুষের সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করা প্রয়োজন।

তিনি জানান, ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট ক্রয়ের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের জেলা পর্যায়ের সব সরকারি হাসপাতালে ১০ লাখ এবং উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ২ লাখ টাকা করে অনুমোদন দিয়েছে।

আজাদ বলেন, ডেঙ্গু আতঙ্কের মধ্যে সাধারণ মানুষ পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটে যাওয়ার কারণে কোথাও কোথাও হয়তো কিটের অভাব হতে পারে।

আসন্ন ঈদুল আজহায় রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ হ্রাস পাওয়ার আশার সাথে আবার শঙ্কা প্রকাশ করে মহাপরিচালক বলেন, এটি সারাদেশেও ছড়িয়ে যেতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Protesters stage sit-in near Bangabhaban demanding president's resignation

They want Shahabuddin to step down because of his contradictory remarks about Hasina's resignation

42m ago