ফুটবলকে বিদায় বললেন ২০১০ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়
জাতীয় দলে সবশেষ খেলেছিলেন ২০১৪ সালে। ইউরোপে নিজের ক্লাব ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছিলেন তারও বছর দুই আগে। তবে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে ফুটবল খেলাটা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছিলেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার দিয়েগো ফোরলান। গেল মৌসুম শেষে ছেদ পড়ে সেখানেও। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো ক্লাবের জার্সিতে আর দেখা যায়নি তাকে। শেষ পর্যন্ত পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারকে বিদায় বলে দিয়েছেন ২০১০ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়।
গেল বছর মে মাসে হংকংয়ের ক্লাব কিটচের হয়ে শেষবার মাঠে নেমেছিলেন ফোরলান। এরপর আর কোথাও খেলেননি তিনি। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিদায়ী বার্তায় গণমাধ্যমের কাছে ৪০ বছর বয়সী ফোরলান জানান, ‘এটা সহজ ছিল না। আমি চাইনি এমন কোনো সময় আসুক। কিন্তু আমি জানতাম এমন কিছু ঘটবে। আমি পেশাগতভাবে ফুটবল খেলা থামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
২১ বছরের সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত নানা অর্জন রয়েছে ফোরলানের নামের সঙ্গে। আর্জেন্টিনার ইন্ডিপেন্ডিয়েন্টের হয়ে ক্লাব ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল তার। এরপর ২০০২ সালে তিনি পাড়ি জমান ইউরোপে। নাম লেখান ইংলিশ পরাশক্তি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। জেতেন প্রিমিয়ার লিগ এবং এফএ কাপের শিরোপা। তবে নিজে খুব বেশি কিছু দেখাতে পারেননি। ভাগ্য বদলের আশায় চলে যান স্পেনে। আর সেখানেই ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটান তিনি।
দুই স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়াল ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত খেলেন ফোরলান। লা লিগায় ২৪০ ম্যাচে করেন ১২৮ গোল। দুবার জেতেন ইউরোপের লিগ ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শ্যু (২০০৪-০৫ ও ২০০৮-০৯ মৌসুমে)। ফোরলানের ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তটি ছিল ২০১০ বিশ্বকাপে। সেবার উরগুয়েকে চতুর্থ স্থান পাইয়ে দেওয়ার পথে ৫ গোল করেছিলেন তিনি। জিতেছিলেন গোল্ডেন বল।
বিশ্বকাপের পর ২০১১-১২ মৌসুমটা ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে কাটান ফোরলান। ওই মৌসুমে ব্যর্থ হওয়ার পর ইউরোপ ছেড়ে যান তিনি। এরপর ক্যারিয়ারের শেষ বছরগুলোতে একে একে ব্রাজিলের ইন্টারন্যাশিওনাল, জাপানের সেরেজো ওসাকা, উরুগুয়ের পেনিয়ারল, ভারতের মুম্বাই সিটি ও হংকংয়ের কিটচেতে খেলেন তিনি।
Comments