বাধে ফাটল, আতঙ্কে ৩০ গ্রামের মানুষ

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় মনু নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ। আজ (৮ আগস্ট) উপজেলার কোটেরকুনা এলাকায় বাধে ফাটল দেখা দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। তাদের আশঙ্কা যেকোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে বাধটি।
Moulvibazar embankment
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় মনু নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধে ফাটল দেখা দেওয়ায় অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। ছবি: স্টার

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় মনু নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ।

উপজেলার কোটেরকুনা এলাকায় বাধে ফাটল দেখা দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। তাদের আশঙ্কা যেকোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে বাধটি।


আজ (৮ আগস্ট) গ্রামবাসীরা জানান, ফাটল দেখা দেওয়ায় ইতোমধ্যে কোটেরকুনা-হাজীপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

কোটেরকুনা গ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, গত এক মাস থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে কোটেরকুনা এলাকায় বাধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাধের ফাটলটি দিনে দিনে আরো বড় হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত বাচ্চু বলেন, যদি দ্রুত বাধ সংস্কারের ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “নদী ভাঙ্গনের কারণে মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া এবং রাজনগর উপজেলায় এখন পর্যন্ত বাধের ৬৭ জায়গাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।”

বাধের উন্নয়নে ১ হাজার কোটি টাকার একটি প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন রণেন্দ্র।

Comments