ভারত-পাকিস্তানের কোচ হওয়ার দৌড়েও হেসন!
বাংলাদেশের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ মাইক হেসন, এমনটাই জানাচ্ছে জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। তাকে কোচ হিসেবে পেতে ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি) রয়েছে প্রচুর আগ্রহ। বৃহস্পতিবারই (৮ অগাস্ট) ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোয় এখন ফাঁকাই আছেন হেসন। তাতে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে চাইতে পারেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও। কিন্তু তাদের এমন স্বপ্ন দেখায় বাধ সেধে দিচ্ছে নিউজিল্যান্ডের জনপ্রিয় দৈনিক স্টাফের একটি প্রতিবেদন। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের কোচ হওয়ার দৌড়েও আছেন ৪৪ বছর বয়সী হেসন।
বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশসহ ক্রিকেট বিশ্বের বড় বড় বেশ কয়েকটি দল হয়ে পড়েছে কোচশূন্য। ভারত কোচ খুঁজছে। পাকিস্তানও মিকি আর্থারকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে শেষ হচ্ছে তার মেয়াদ। চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে প্রধান কোচের পদ থেকে সরাতে নানা কৌশল খাটাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। কোচ নেই দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তানেরও। ফলে বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করে কোচ নিয়োগ দিতে হবে বাংলাদেশকে।
এরই মধ্যে টাইগারদের কোচ হতে সাক্ষাৎকার দিয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ক্রিকইনফো জানিয়েছে, কোচ বাছাই করে নিতে পাঁচজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে বিসিবি। ডমিঙ্গো-হেসনের পাশাপাশি সেখানে আরও আছেন শ্রীলঙ্কার হাথুরুসিংহে, ইংল্যান্ডের পল ফার্ব্রেস ও জিম্বাবুয়ের গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। এদের মধ্যে হেসনকেই না-কি বেশি পছন্দ বিসিবির। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল কোচ বলা হয়ে থাকে হেসনকে। ছয় বছর নিজ দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ ছিলেন তিনি। তার অধীনে ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল কিউইরা। তারা খেলেছিল ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। ২০১৮ সালের এপ্রিলে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বরেও উঠেছিল দলটি। তবে পারিবারিক কারণে এক মাস পরই (জুনে) তিনি নিউজিল্যান্ডের কোচের পদ ছেড়ে দেন। এরপর আইপিএলে এক মৌসুম কোচিং করান পাঞ্জাবকে। কিন্তু সেখানেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকা হেসনকে নিয়ে বাংলাদেশের মতো ভীষণ আগ্রহী ভারত আর পাকিস্তানও। বিশ্বকাপের পর রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। নতুন কোচ চেয়ে তারা যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, তাতে আবেদন পড়েছে দুই হাজারেরও বেশি। তাদের মধ্য থেকে তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা বানিয়েছে বিসিসিআই। আগামী সপ্তাহে নেওয়া হবে সাক্ষাৎকার। স্টাফ জানিয়েছে, সেই তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ান টম মুডি, আছেন শাস্ত্রীও। আর তৃতীয় ও শেষ নামটি হেসনের।
বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায়ে আর্থার ও তার গোটা কোচিং স্টাফকে আর দায়িত্বে রাখছে না পাকিস্তান। তারা চারটি পদের (প্রধান কোচ, ব্যাটিং কোচ, বোলিং কোচ ও ট্রেইনার) জন্য বিজ্ঞাপন দেবে। ফলে হেসনের সামনে খুলে গেছে আরেকটি সম্ভাবনার দ্বার। স্টাফ জানাচ্ছে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) তার ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, পছন্দের তালিকায় সবার উপরে থাকলেও দুই প্রতিবেশী দেশকে টপকে হেসনকে কোচ হিসেবে পাওয়াটা বেশ বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিনই হবে।
Comments