ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট
গাজীপুরের চন্দ্রা মোড় থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজ (৯ আগস্ট) ভোররাত থেকে রয়েছে তীব্র যানজট।
ভোররাত ৩টা থেকে এই যানজট শুরু হলে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। অসংখ্য গাড়ি রাস্তায় আটকে যায়। মাঝে মাঝে গাড়িগুলো সামান্য এগোলেও খানিক পর আবার থেমে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে আজ থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার চাপ, অসংখ্য গাড়ি এবং রাস্তায় খানাখন্দ।
বৃষ্টির কারণে রাস্তার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গেছে। রাস্তার পাশে কাদা। এর ফলে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গমুখি লেনটায় বেশির ভাগ সময়ই গাড়িগুলো আটকে থাকছে বলেও জানান তারা।
এর ফলে ঈদের ঘরমুখো যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে পুলিশের দাবি, গাড়িগুলো ধীরে ধীরে এগোচ্ছে।
টাঙ্গাইল শহর বাইপাসে দায়িত্বরত টাঙ্গাইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ভোররাত ৩টা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় সকাল ১১টার দিকে মহাসড়কটিতে হাজার হাজার গাড়ি আটকে থাকতে দেখা যায়।
টাঙ্গাইল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আহাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “গতকালকের ভারি বৃষ্টিতে রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেছে। মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে খানা-খন্দক, কাদা রয়েছে। এছাড়াও, রাস্তায় ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ও গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনায় এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে।”
“আমাদের টাঙ্গাইল অংশে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন যাতে গাড়িগুলোকে চলমান রাখা যায়,” যোগ করেন পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি আরো জানান, রাস্তার বিভিন্ন অংশ আগে থেকেই ভাঙ্গা ছিলো এবং মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে আন্ডারপাসের নির্মাণকাজ চলছে। রাস্তার বিভিন্নস্থানে খানা-খন্দক, কাদা। বৃষ্টিতে রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী একজন যাত্রী মোহাম্মদ সুরুজ জামান নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমি কুমিল্লা থেকে যাচ্ছি টাঙ্গাইলের মধুপুরে। ভোররাত ৩টার দিকে চন্দ্রার মোড়ে এসে জ্যামে পড়ি। চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল আসতে যেখানে দেড় ঘণ্টা লাগার কথা, সেখানে ছয় ঘণ্টা পর টাঙ্গাইল শহর বাইপাসে আসি।”
“সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাচ্চারা বমি করছে, নারীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।”
Comments