ভোগান্তিতে পাটুরিয়াগামী যাত্রীরা
ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না পাটুরিয়াগামী যাত্রীদের। ঢাকা আরিচা মহাসড়ক হয়ে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ১৯টি জেলার মানুষের ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে গেছে ঘাট এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকায়।
বরিশালের উজিরপুর এলাকার ব্যবসায়ী সবুর মিয়া বলেন, তিনি ঢাকা থেকে স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন ঈদ করতে। তিনি সকাল ৯ টায় ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে সাকুরা পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। তার গাড়ি পাটুরিয়া এলাকায় আসে দুপুর ১২ টায়। সন্ধ্যা ৬টাতেও তার বাস ফেরিতে উঠতে পারেনি। তিনি বলেন গত ঈদে ঘাট এলাকায় এত সময় আটকে থাকতে হয়নি।
সোহাগ পরিবহনের যাত্রী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্ত্রী ও ছয় মাসের বাচ্চাকে নিয়ে তিনি ঢাকা থেকে খুলনার ফুলতলা যাচ্ছেন। সকাল ৮ টায় তার বাস রওয়ানা দেয়। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় আসে সাড়ে ১১টায়। এর পর ছয় ঘণ্টাতেও তার বাস ফেরিতে উঠতে পারেনি।
এদিকে, পাটুরিয়া ঘাটে রয়েছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। লঞ্চের পাশাপাশি তারা ফেরিতে পার হচ্ছেন নদী।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পণ্যবাহী ট্রাক এবং অননুমোদিত বাস এই রুটে আসার ফলে গাড়ীর চাপ বেড়ে গিয়েছিল। এজন্য সাময়িক ভোগান্তি হয়েছে। তবে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে আছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবেন বলে দাবি করেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, ২০টি ফেরি চালু আছে। ফেরি পারাপারে কোনো সমস্যা নেই। তবে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এদিকে, বিভিন্ন বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। গাবতলী থেকে পাটুরিয়ার ভাড়া ১২০ টাকা হলেও নেওয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ করে।
আরও পড়ুন: ‘বাস, ট্রেন, লঞ্চ, উড়োজাহাজ সব জায়গায় দুর্ভোগে যাত্রীরা’
Comments