জনগণের আস্থার প্রতিদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী

টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের সুযোগ দেয়ায় জনগণকে তাদের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাসস ফাইল ছবি

টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের সুযোগ দেয়ায় জনগণকে তাদের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “আপনারা আমার ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছেন, আপনারা আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, আমি নিশ্চিতভাবে সে বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিদান দেব। আমরা দেশকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাব।”

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে আমরা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে বসাতে পেরেছি। সামনের দিকের এ অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে।”

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশকে কেউ যেন খাটো করে দেখতে না পারে এ জন্য তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং দেশ যে মর্যাদা অর্জন করেছে তা যেন অটুট থাকে।

“দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নতি হচ্ছে, মানুষের আয় বেড়েছে এবং দেশ থেকে দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে,” উল্লেখ করেন হাসিনা।

তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগস্ট মাস ব্যথা, শোক এবং দুঃখ নিয়ে আসে। তিনি পিতা-মাতাসহ তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যদের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে হারিয়েছেন।

তিনি বলেন, “দুঃখ ব্যথা ও বেদনা হৃদয়ে রেখে জীবনের সবকিছু ত্যাগ করে কেবল বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ ও ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আমি আমার জীবনকে উৎসর্গ করেছি।”

দেশের জনগণ সুখে থাকলে তার বাবা-মায়ের আত্মা শান্তি পাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কারণ আমার বাবা তার জীবনের সমস্ত কিছু এদেশের মানুষের জন্য দিয়ে গেছেন।”

শেখ হাসিনা বলেন, তার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নই এখন তার প্রধান কাজ।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য সকাল সাড়ে ৯টায় গণভবনের ফটক খোলা হয়।

শুরুতে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

পরে মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক দলের নেতা, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রতিবছরের মতো এবারও গণভবনে আগত কেউ কেউ রাষ্ট্রের শীর্ষ নির্বাহীর কাছে নিজেদের দুঃখ দুর্দশা বা সমস্যার কথা জানানোর সুযোগ পেয়েছেন।

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, সিনিয়র বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের কূটনীতিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now