স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার সন্দেহভাজন ২ আসামি ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত

সদর উপজেলায় ঈদের আগের রাতে ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার সন্দেহভাজন দুই আসামি ‘ক্রসফায়ারে’ নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
Crossfire logo
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সদর উপজেলায় ঈদের আগের রাতে ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার সন্দেহভাজন দুই আসামি ‘ক্রসফায়ারে’ নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

ভোলা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিখর জানান, আজ (১৪ আগস্ট) ভোররাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের সৈয়দ আহমেদের ছেলে আলামিন (২৫) ও কালাম মিস্ত্রির ছেলে মঞ্জু।

নিহত আলামিন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাড়ির পাশের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ধর্ষণে অভিযুক্ত নিহত দুজনকে শনাক্ত করেন।

জেলা পুলিশ প্রধান সরকার মোহাম্মাদ কায়সার বলেন, “গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল আজ ভোররাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন সন্ত্রাসী নিহত হয়।”

প্রসঙ্গত, নিহত আলামিন ও মঞ্জু গত ১১ আগস্ট রাতে সদর উপজেলার চর সিফলী গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত ছিলেন।

এর আগে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়ে পার্শ্ববর্তী আত্মীয় মাহফুজের স্ত্রী লিজার কাছে মেহেদি দিতে যায়। কিন্তু, লিজা ঘরে না থাকার সুযোগে তাদের বাসায় ভাড়াটিয়া আলামিন ওই ছাত্রীকে ঘরে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে সহযোগী মঞ্জুকে নিয়ে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

পরে ওই ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা করে। বর্তমানে সে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

Comments