ভিত্তিটা মজবুত করতে চান নতুন কোচ

রাসেল ডমিঙ্গোকে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। কিন্তু এই দক্ষিণ আফ্রিকানের চোখ কেবল জাতীয় দলের গণ্ডিতেই নেই। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সর্বোচ্চ পর্যায়ে কীভাবে উঠে আসছে, পাইপলাইন কতটা মজবুত তা খতিয়ে দেখতে চান তিনি। কাজ করতে চান সেখানেও।
Russell Domingo
গত ৭ অগাস্ট ঢাকায় সাক্ষাতকার দিয়ে বিসিবি প্রধান নির্বাহি নিজামউদ্দিনের সঙ্গে রাসেল ডমিঙ্গো। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

রাসেল ডমিঙ্গোকে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। কিন্তু এই দক্ষিণ আফ্রিকানের চোখ কেবল জাতীয় দলের গণ্ডিতেই নেই। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সর্বোচ্চ পর্যায়ে কীভাবে উঠে আসছে, পাইপলাইন কতটা মজবুত তা খতিয়ে দেখতে চান তিনি। কাজ করতে চান সেখানেও।

শনিবার ডমিঙ্গোকে দুই বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানায় বিসিবি। বোর্ড সভাপতি জানান, বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে বিস্তর জানাশোনা, ব্যাপক আগ্রহ আর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় নির্বিঘ্নে কাজ করার ইচ্ছা থাকায় তাকে বেছে নিয়েছেন তারা।

ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাতকারেও নতুন কোচের কণ্ঠে উঠে এল তারই অনুরনন। দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দল ও এইচপিতে কাজ করা অভিজ্ঞ এই কোচ বাংলাদেশেও রাখতে চান সমান ভূমিকা। দায়িত্ব নেওয়ার আগেই তার দেখার দৃষ্টি বিস্তৃত করে জানালেন নিজের চিন্তা, ‘অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে আমি বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল হয়ে জাতীয় দল পর্যন্ত কাজ করেছি। আমি মনে করি ক্রিকেটারদের বেড়ে উঠার প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি ভীষণভাবে সম্পৃক্ত। কোন সন্দেহ নেই জাতীয় দল অবশ্যই আপনার প্রথম অগ্রাধিকার। কিন্তু জাতীয় দলের পেছনে কি হচ্ছে সেখানে আপনার অবশ্যই আগ্রহ থাকতে অবে। খেলোয়াড়রা কোথা আসছে জানতে হবে। মূল খেলোয়াড়রা কীভাবে উঠে আসে এই নিয়ে যদি আমার ছোট ভূমিকাও থাকে। তাহলেও মনে করি এটা গুরুত্বপূর্ণ।’

ব্যাপারটা এমনও নয় যে সিনয়র ক্রিকেটারদের ছেঁটে ফেলে নতুন দিয়ে ভরিয়ে ফেলতে চান তিনি। বরং নতুন পারফর্মার তুলে এনে বর্তমান ক্রিকেটারদের উপর ভালো করার তাগিদ বাড়াতে নজর তার,  ‘বাংলাদেশের বর্তমানে দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড় আছে। আরও নতুন খেলোয়াড় আনতে পারলে সিনিয়র খেলোয়াড়দের উপর তারা চাপ প্রয়োগ করবে। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার কিছু সুযোগও তাদের দিতে হবে।’

বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন এই ইঙ্গিত পেয়ে আরও গভীরভাবে নজর রেখেছিলেন এই দেশের ক্রিকেটে। যুবদলের ইংল্যান্ড সফরের সবগুলো ম্যাচই আগ্রহভরে তলিয়ে দেখেছেন তিনি। তাতে আশাবাদ তার কণ্ঠে, ‘আমি সত্যিই মনে করি এইচপির কোচ, ম্যানেজারদের সঙ্গে কাজ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনূর্ধ্ব-১৯ দল ইংল্যান্ডকে চারবার হারিয়েছে, ভারতকে শক্ত চাপ দিয়েছে। সেখানে অবশ্যই কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। তাদের জাতীয় পর্যায়ের জন্য যত্ন করে তৈরি করা দরকার।’ 

ডমিঙ্গোর মূল ভাবনায় আছে জাতীয় দলের ভিত্তি। আগামী পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশকে নিশ্চিন্ত করতে চান তিনি, ‘আমাদের ভিত্তিটা বিস্তৃত করা দরকার। তাহলে আগামী পাঁচ-ছয় বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যেতে পারবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago