ভিএআর তখন কফি খাচ্ছিল: গার্দিওলা
গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কথা। সেমি-ফাইনালে টটেনহ্যাম হটস্পার্সের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের খেলা চলছে ম্যানচেস্টার সিটির। সের্জিও আগুয়েরোর পাসে রহিম স্টার্লিংয়ের দারুণ এক শটে বল জড়াল জালে। উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো ইতিহাদ স্টেডিয়াম। খেলোয়াড়রা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে মাতেন। কম যাননি কোচ পেপ গার্দিওলাও। অন্যদিকে পিনপতন নীরবতা টটেনহ্যামে শিবিরে। কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে বাতিল হয় গোলটি। পরিস্থিতি তখন পুরোই ইউটার্ন দেয়।
ঠিক চার মাসের সেই ঘটনা যেন আবারও পুনরাবৃত্তি হলো। প্রতিপক্ষ সেই একই। টটেনহ্যাম ও ম্যানসিটি। ফলাফল তখন ২-২। ম্যাচের যোগ করা সময়ের খেলা চলছে। সে সময় গোল করে সিটিকে উল্লাসে ভাসান গ্যাব্রিয়েল জেসুস। কিন্তু ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্যে বাতিল হয় গোল। কর্নারের সময় আয়মেরিক লাপোর্তের হাতে লাগে বল। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত সব ধরনের হ্যান্ডবলেই বাতিল হবে গোল। তাতে জয় পাওয়া হয়নি সিটির।
এ যেন ভিএআরের সঙ্গে পেপ গার্দিওলার জাত শত্রুতা, তবে ভিএআরের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন সিটি কোচ। কিন্তু তার দাবি সব ম্যাচে সমানভাবে এ প্রযুক্তি প্রয়োগ হচ্ছে না, ‘গত মৌসুমে ছিল অফসাইড, এবার হ্যান্ডবল। যদি হাতে লেগে থাকে রেফারি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে বলার কিছু নেই। তবে আমরা আরও ধারাবাহিক হতে পাড়ি। যদি এটা হ্যান্ডবল হয় তাহলে গত মৌসুমে ফার্নান্দো লোরেন্তের একটা হ্যান্ডবল কেনো দেওয়া হয়নি?'
'এবার লিভারপুল-চেলসি ম্যাচে ক্রিস্টেনসেনের হাতে বল লাগলেও পেনাল্টি দেওয়া হয়নি। আমরাও একটা পেনাল্টি পেতে পারতাম যখন রদ্রিগোকে এরিক লামেলা ফাউল করেছিল। ওই মুহূর্তে হয়তো ভিএআরের সবাই কফি খেতে গিয়েছিলেন।’ - যোগ করে আরও বলেন গার্দিওলা।
তবে শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট পাওয়ায় খুশি গার্দিওলা। ম্যাচের ২০ মিনিটে স্টার্লিংয়ের গোলে এগিয়ে যায় তার দল। তবে তিন মিনিট পর সে গোল শোধ করেন এরিক লামেলা। ফের ৩৫তম মিনিটে আগুয়েরোর গোলে এগিয়ে যায় সিটি। তবে ৫৬তম মিনিটে সে গোলও পরিশোধ করে দেন লুকাস মৌরা। শেষ পর্যন্ত এ ফলাফল নইয়েই মাঠ ছাড়ে দল দুটি।
Comments