তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা পাড়ে মানববন্ধন
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশে সফরে আসায় তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির দাবিতে মানব বন্ধন করেছেন লালমনিরহাটের তিস্তা পাড়ের মানুষ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিস্তা পাড়ের বিভিন্ন গ্রামের শশ শত মানুষ লালমনিরহাট সদরে তিস্তা পাড়ে জড়ো হয়ে তাদের দাবির কথা তুলে ধরেন।
তারা বলেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে আর তারা প্রতিশ্রুতি শুনতে চান না, কারণ দীর্ঘদিন থেকে শুকনো প্রতিশ্রুতি শুনে আসছেন। এখন তারা জানতে চান কোন দিন তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন হবে আর বাংলাদেশ অংশের অর্ধমৃত তিস্তা ফিরে পাবে যৌবন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী তিস্তা পাড়ের কৃষক সোলেমাস মিয়া (৭৫) জানান শুস্ক মৌসেুমে যখন পানির প্রয়োজন তখন তারা তিস্তা নদী থেকে পানি পান না। আর বর্ষাকালে আসে প্রচুর পানি, ভেসে যায় তাদের ঘরবাড়ি। “আমরা যদি সারা বছরই তিস্তায় পানি পাই তাহলে এটি আমাদের জীবন মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।” এমনটি জানান তিনি।
৪০ বছর আগে তিস্তার ছিল যৌবন কিন্তু এখন আর নেই। তিনি বলেন, তিস্তা মুমূর্ষু নদীতে পরিণত হওয়ায় এর দুপাশের লক্ষ মানুষেরও একই অবস্থা এখন।
“যদি তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়িত হয় তাহলে বেঁচে যাবে প্রিয় তিস্তা, বাঁচাবে তিস্তা পাড়ের নানা পেশার লক্ষ মানুষকে,” জানালেন তিস্তা পাড় কালমাটি গ্রামের মৎস্যজীবী রমানাথ চন্দ্র দাস (৭০)। “শুকনো তিস্তা আমাদের বেকার করেছে তাই আমরা এখন জীবিকার সন্ধানে ঘুরছি প্রতিক্ষণ,” যোগ করেন তিনি।
“তিস্তার বুকে যদি সারা বছরই পানি থাকে বিশেষ করে শুস্ক মৌসুকে পানি থাকলে তাহলে বিপুল পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ হবে। তিস্তা পাড়ের লক্ষ মানুষ মুক্তি পাবে দারিদ্র্যের হাত থেকে।” জানালেন সেখানকার নোহালীঅ গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন (৬৮)।
স্কুল শিক্ষক বেলাল হোসেন (৫৫) বলেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর খুবই ইতিবাচক কথা বলছেন, আশা করছি তিনি তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।
Comments