তাইওয়ানের কাছে ৬৬টি এফ-১৬ বিক্রি করছে আমেরিকা

চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে তাইওয়ানের কাছে ৬৬টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলে মহাপ্রাচীরের দেশটির সঙ্গে আমেরিকার সংঘাত নতুন মাত্রা পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
F-16 fighter jet
এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে তাইওয়ানের কাছে ৬৬টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলে মহাপ্রাচীরের দেশটির সঙ্গে আমেরিকার সংঘাত নতুন মাত্রা পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে আজ (২১ আগস্ট) বলা হয়, প্রায় ৮০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র তাইওয়ানের কাছে বিক্রির জন্যে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর মধ্যে থাকছে ৬৬টি নতুন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান।

গতকাল স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই ঘোষণা দিয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, বাণিজ্য, হংকংয়ে চীনের হস্তক্ষেপসহ নানা বিষয়ে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে চলমান মতবিরোধ যখন তুঙ্গে তখনই ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলো। এর ফলে চীন ও আমেরিকার মধ্যে দ্বন্দ্ব আরো বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রথমে মার্কিন সরকারের ঘনিষ্ঠজনরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির চুক্তিটি অনানুষ্ঠানিক থাকবে। অনেকে আবার এমনটিও বলেছিলেন যে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। কিন্তু, সেসব ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো অস্ত্র বিক্রির চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়ার ফলে।

তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সংবাদ শোনা মাত্রই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। গত ১৬ আগস্ট চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, তাইওয়ানের ওপর চীনের সার্বভৌমত্ব ও অন্যান্য বিষয় উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অস্ত্র তথা এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রির বিরোধিতা করে চীন আশা প্রকাশ করে যে যুক্তরাষ্ট্র সেই চুক্তি বাতিল করে দিবে। আর তা না হলে যুক্তরাষ্ট্রকেই এর “সব দায়ভার নিতে হবে” বলেও হুমকি দেওয়া হয় চীনের পক্ষ থেকে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago