ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্ধ হলো দুটি বাল্যবিয়ে, বরের কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ছাত্রী বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামে ও জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকায় ওই ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, সাদেকপুর গ্রামের বেপারী বাড়ির দ্বীন ইসলামের (২৪) সঙ্গে মাদ্রাসায় পড়ুয়া নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বর প্রাপ্ত বয়স্ক ও কনে অপ্রাপ্তবয়সের হওয়ায় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি ইউএনওকে জানান। খবর পেয়ে ইউএনও ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাড়িতে পৌঁছে বরসহ তার পক্ষের লোকজনদের উপস্থিতি দেখতে পান এবং পরে বাল্যবিয়ের আয়োজন বন্ধ করেন। সেসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইউএনও বাল্যবিয়েতে রাজি হওয়ার অপরাধে প্রাপ্ত বয়স্ক বর দ্বীন ইসলামকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা-মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেন।
এদিকে শিমরাইলকান্দি এলাকায় শহরের একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে তার সঙ্গে শহরের মৌড়াইল এলাকার ২৮ বছর বয়সী এক যুবকের বিয়ের কথা পাকা ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে একই দিন বিকেলে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা জোবায়ের ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন। সেসময় প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিবেন না মর্মে বাবা-মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা জোবায়ের বলেন, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বিয়ে দিতে বয়স বাড়িয়ে বাবা-মা একটি ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করেছিলেন। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতির কথা শুনে বরপক্ষ আসেননি।
Comments