ঢাকাসহ ১২ সিটি করপোরেশনের একটিতেও কোনো কীটতত্ত্ববিদ নেই

মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য গবেষণা চালানো এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা অত্যাবশ্যকীয় কাজ হলেও, দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের একটিতেও কোনো কীটতত্ত্ববিদ (এনটোমোলোজিস্ট) নেই।
sir salimullah medical
২৩ আগস্ট ২০১৯, রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের বাইরে মেঝেতে শুয়ে আছেন এক রোগী, পাশে তার মা। ছবি: পলাশ খান

মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য গবেষণা চালানো এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা অত্যাবশ্যকীয় কাজ হলেও, দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের একটিতেও কোনো কীটতত্ত্ববিদ (এনটোমোলোজিস্ট) নেই।

কাগজে-কলমে ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনে কীটতত্ত্ববিদের দুটি পদ থাকলেও, দীর্ঘদিন ধরে সেগুলো খালি পরে আছে। দেশের অন্য ১০টি সিটি করপোরেশনে এ সংশ্লিষ্ট কোনো পদই নেই।

এ কারণেই মশা নিয়ন্ত্রণের কাজটি সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য বেশ কঠিন হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি দেশজুড়ে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় এডিস মশাসহ নানা প্রজাতির কীট নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে এই কাজের জন্য তাদের পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ নেই বলে জানা গেছে।

জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কীটতত্ত্ববিদ, সহকারী কীটতত্ত্ববিদ এবং কীটতত্ত্ব সংক্রান্ত টেকনিশিয়ানের পদগুলো তিন মাস থেকে ২৫ বছর ধরে খালি পরে আছে।

কীটের বৈশিষ্ট্য, অন্যান্য প্রজাতি ও পরিবেশের সঙ্গে তাদের মিথস্ক্রিয়া, প্রজননের হার, রোগ-জীবাণু বহন এবং বিস্তারের ক্ষমতা নিয়ে গবেষণা করেন কীটতত্ত্ববিদরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার জানান, দেশের রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। কীটতত্ত্ববিদরা তাদের গবেষণার মাধ্যমে এডিস মশাকে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করতে পারতেন।

রাজধানী ও দেশের অন্যত্র জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩১টি কীটতত্ত্ববিদের পদের মধ্যে ১৩টি বর্তমানে খালি রয়েছে। তাদের কীটতত্ত্ব সংক্রান্ত টেকনিশিয়ানের ৫৯টি পদের মধ্যে ২৯টি পদে লোক থাকলেও, সহকারী কীটতত্ত্ববিদের তিনটি পদের একটি শূন্য রয়েছে।

তাছাড়া, দেশের ৪০টি জেলায় জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ সংক্রান্ত কোনো পদই নেই।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago