রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত

রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে যেতে উৎসাহিত করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে খুব কম কাজ করছে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত মিয়ানমার, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
Rohingya
ছবি: স্টার গ্রাফিক্স

রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে যেতে উৎসাহিত করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে খুব কম কাজ করছে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত মিয়ানমার, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান জানান, কথিত গণহত্যার ক্ষেত্রে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার বিষয়টি যেমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তেমনি রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করাও বাংলাদেশের জন্য অতি জরুরি।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নৃশংস অভিযান চালানোর পর নতুন করে ৭ লাখ ৪৩ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

প্রত্যাবাসনের আগে নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা, সুরক্ষিত রাখাইন রাজ্য, চলাফেরার স্বাধীনতা, জাতিসত্তার স্বীকৃতি এবং আশ্রয় কেন্দ্রে নয়, নিজেদের ভিটেমাটিতে ফিরে যেতে চাইছে রোহিঙ্গারা।

কিন্তু মিয়ানমার এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের এ ধরণের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ফলে গতবছরের ১৫ নভেম্বরের মতোই এবারও ২২ আগস্টের দ্বিতীয় দফার প্রত্যাবাসন চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আসিয়ানের পাশাপাশি চীন, ভারত ও জাপানের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সমর্থন অর্জন করতে সক্ষম হয়নি বাংলাদেশ।

বরং চীন ও ভারতের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাংলাদেশ নিজস্ব পন্থায় স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রেখে চলছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago