রূপা হত্যার ২ বছর, রায় কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন
চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপা হত্যাকারীদের বিচার বেঁচে থাকতে দেখে যেতে চান তার মা ও পরিবারের সদস্যরা।
আজ (২৫ আগস্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ প্রেসক্লাবের সামনে বুকে কালো ব্যাচ ধারণ করে রায় কার্যকরের দাবিতে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
রূপার মা হাসনাহেনা বেগম (৫৭) সাংবাদিকদের বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। এরপর গত ১৯ মাসেও চাঞ্চল্যকর এ মামলায় শুনানি শুরু হয়নি।
তিনি বলেন, “নিম্ন আদালতে দ্রুততম সময়ে মামলার রায় ঘোষণায় সন্তুষ্ট হয়েছিলাম। তবে উচ্চ আদালতে আসামিপক্ষের আপিলের পর মামলাটি গত দেড় বছর ঝুলে থাকায় আমরা এখন হতাশ।”
রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান বলেন, “ক্ষতিপূরণ হিসেবে ছোঁয়া পরিবহনের বাসটি পরিবারকে দেওয়ার যে আদেশ আদালত দিয়েছেন, তাও কার্যকর করা হয়নি। বিচারের সর্বশেষ পর্যায়ে যেতে কতোদিন সময় লাগবে তা এখন জানা নেই। এতে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশাও ক্ষীণ।”
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাতে মধুপুর বনাঞ্চলের রাস্তার ধার থেকে রূপার লাশ উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। তার পরিচয় না মেলায় ২৬ আগস্ট ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
পরদিন ২৭ আগস্ট নিহতের বড়ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় রক্তাক্ত লাশের ছবি দেখে ছোটবোন রূপাকে শনাক্ত করেন। রূপা সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামের মৃত জেলহাজ প্রামাণিকের মেয়ে ও ঢাকা আইডিয়াল ল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
৩১ আগস্ট রূপার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওইদিন রাতেই তাকে দাফন করা হয়।
রূপা খাতুন ধর্ষণ ও হত্যার মামলার রায়ে গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি চারজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
Comments