যুবলীগ নেতা হত্যায় আরেক অভিযুক্ত রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার জাদিমুড়া এলাকায় পুলিশের কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরও এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। তিনি স্থানীয় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত ছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আজ (২৬ আগস্ট) ভোররাতে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত মো. হাসান মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু এলাকার বাসিন্দা হামিদ উল্লাহর ছেলে। তিনি জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, টেকনাফের ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার পলাতক আসামিরা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাসেল আহমদ রাত দেড়টার দিকে অভিযানে যান। জাদিমুড়া এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের এসআই সাব্বির আহমদ, কনস্টেবল বাহার উদ্দিন ও লিটন গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১০ রাউন্ড গুলি করে।
তিনি আরও জানান, উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে হত্যা মামলার আসামি হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। গুলিবিদ্ধ হাসানকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে একটি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), পাঁচটি শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও আট রাউন্ড কার্তুজের খোসা পাওয়া যায়। গোলাগুলির ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
টেকনাফে যুবলীগ নেতা হত্যায় অভিযুক্ত ২ রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
Comments