‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে’ মানববন্ধন করতে দিলো না ছাত্রলীগ

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের দুর্নীতি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ‘হাসপাতাল দুর্নীতি দমন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ কমিটি’র পূর্ব নির্ধারিত মানববন্ধন পণ্ড করে দিয়েছে ছাত্রলীগ।
Sunamganj human chain foiled
২৬ আগস্ট ২০১৯, সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ারে ‘হাসপাতাল দুর্নীতি দমন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ কমিটি’র পূর্ব নির্ধারিত মানববন্ধন পণ্ড করে দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের দুর্নীতি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ‘হাসপাতাল দুর্নীতি দমন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ কমিটি’র পূর্ব নির্ধারিত মানববন্ধন পণ্ড করে দিয়েছে ছাত্রলীগ।

আজ (২৬ আগস্ট) দুপুরে শহরের আলফাত স্কয়ারে মানববন্ধনটি পণ্ড করে দেওয়া হয়।

মানববন্ধন আয়োজকদের অভিযোগ- সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের একটি শক্তিশালী দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সেবাকে ব্যাহত করেছে।

আরো বলা হয়, মানববন্ধনে আসা লোকজন কর্মসূচিতে দাঁড়ালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে’র নেতৃত্বে কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়। সেসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মানববন্ধন না করার অনুরোধ জানান।

পরে, আলফাত স্কয়ার থেকে মানববন্ধন সরিয়ে আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে নিয়ে গেলে সেখানেও মানববন্ধন করতে বাধা দেয় পুলিশ।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে বলেন, “মানববন্ধনে বিএনপি- জামায়াতের লোকজন ছিলো। তাছাড়া সেই মানববন্ধনে পুলিশ মামলার আসামি ছাত্রদল নেতাও ছিলো।”

তিনি আরো বলেন, “মানববন্ধনে সরকারবিরোধী কথাবার্তা বলায় ছাত্রলীগ অবস্থান নেয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে আমরা এর প্রতিবাদ করি।”

এদিকে, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ সুজন বলেন, “মানববন্ধনে জামায়াত-বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা ছিলো না। আমরা সচেতন সুনামগঞ্জবাসী সদর হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।”

“মানববন্ধনে বাধা দেওয়া ঘটনাটি নিন্দনীয়” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হায়াতুন নবী বলেন, “মানববন্ধন চলাকালে দুটি সংগঠন এক সঙ্গে অবস্থান নেওয়ায় আমরা তাদের মধ্যে অবস্থান নেই। সেখানে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হয়নি।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago