বিকাল ৪টায় কূটনীতিকদের ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ইস্যুর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে আজ (২৯ আগস্ট) ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছা ও মিয়ানমার সম্পর্কে তাদের মাঝে আস্থার ঘাটতির কারণে প্রত্যাবাসন শুরুর সর্বশেষ প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ হওয়ায় এ উদ্যোগ নেওয়া হলো।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ব্রিফ করবেন বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ব্যাপক প্রস্তুতির পরও রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছার কারণে ২২ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো আটকে যায় স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর কার্যক্রম। সেদিন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম সাংবাদিকদের বলেন, “রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় আজ প্রত্যাবাসন সম্ভব হচ্ছে না।”
এর আগে, রোহিঙ্গাদের প্রথম দলের ফেরার কথা ছিলো গত বছরের ১৫ নভেম্বর। কিন্তু, রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ না থাকায় রোহিঙ্গারা ফিরতে রাজি না হওয়ায় এ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
এদিকে, গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি টাস্কফোর্সের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও আগামীতে কী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাদের বেশির ভাগই মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বর্বর অভিযান থেকে জীবন বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর চুক্তি সই করে। পরে দুই দেশ ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ নামে চুক্তি করে। ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ অনুযায়ী, প্রত্যাবাসন শুরুর দুই বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু, এ বিষয়ে অগ্রগতি খুবই সামান্য।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের আগে যাচাইয়ের জন্য ২৯ জুলাই ছয় হাজার পরিবারের ২৫ হাজার রোহিঙ্গার নতুন একটি তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। এ নিয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পেয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, তারা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য মাত্র ৩,৪৫০ রোহিঙ্গাকে ছাড়পত্র দিয়েছে।
Comments