চট্টগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
চট্টগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। বাহিনীগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন ডাকাত ও একজন মাদক ব্যবসায়ী।
চট্টগ্রামে নিহতের নাম ইরান (৩৫)। র্যাব-৭ এর উপ পরিচালক মেহেদী হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নিহতের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।
তার দাবি, আজ সকাল ৮টার দিকে বাঁশখালীর পূর্ব চাম্বল এলাকায় র্যাবের একটি টহল দলের সঙ্গে দুর্বৃত্ত দলের বন্দুকযুদ্ধ হয়। গুলিবিনিময়ের পর ঘটনাস্থল থেকে ইরানের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
গুলিবিনিময়ের ঘটনার পর সেখান থেকে ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, বুলেট ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও যোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে ইউএনবির খবরে জানানো হয়, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা গ্রামে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোকনুজ্জামান রোকন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুরের আবু বক্কর সিদ্দিকীর ছেলে রোকনুজ্জামানকে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী দাবি করছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, মাদক, চোরাচালান, ডাকাতি, অপহরণসহ ১০টি মামলা রয়েছে বলেও দাবি পুলিশের।
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাসের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা এলাকার একটি বাঁশবাগানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসায়ীদের দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় উভয় পক্ষই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
ওসির দাবি, প্রায় আধাঘণ্টা গুলি বিনিময়ের পর মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রোকরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একই সাথে ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় এলজি, দুইটি কার্তুজ, এক বস্তা ফেনসিডিল ও দুইটি রাম দা উদ্ধার করা হয়।
Comments