চবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, শাটল ট্রেন চালককে অপহরণ

cu
ছবি: সংগৃহীত

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত মধ্যরাতের এ ঘটনায় ছাত্রলীগের অন্তত পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

এরা হলেন- ইসলাম শিক্ষা বিভাগের মো. ইলিয়াস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ওবায়দুর রহমান লিমন, লোক প্রশাসন বিভাগের নিলয় হাসান, পরিসংখ্যান বিভাগের মাহফুজুর রহমান, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রিয়াম রায় প্রান্ত।

এদের প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে ফিরে যান তারা।

এ ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন বন্ধ রয়েছে। কোনো ক্লাস-পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়নি। এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

আমাদের চবি সংবাদদাতা জানান, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপ ‘বিজয়’ ও ‘চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)’ গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে। এ সময় এক গ্রুপ অপর গ্রুপের নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বিজয় গ্রুপের নেতা তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার রেশ ধরে গতরাতে আহতদের সহকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের হোসপাইপ কেটে দেয় এবং ট্রেনের চালক খুরশীদ আলমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে আজ সকাল ১১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়।

আমাদের চবি সংবাদদাতা আরও জানান, এ ঘটনার পর রাতের আঁধারে কে বা কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিবহনের সবকটি বাসের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয়। এতে আজ ক্যাম্পাস এলাকার বাইরে থেকে কোনো শিক্ষক আসতে পারেননি।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শ্যাটল ট্রেনের হোসপাইপ কেটে দেওয়ায় মেরামতের কাজ চলছে। ঠিক না হওয়া পর্যন্ত শ্যাটল ট্রেনের চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

চবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, “শ্যাটল ট্রেন ও শিক্ষক পরিবহন বাস চলতে না পারায় আজ ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ছাত্রলীগের বিরোধপূর্ণ দুটি গ্রুপের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বসেছি।”

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

45m ago