কোহলির রেকর্ড, শীর্ষস্থান মজবুত করল ভারত

india cricket team
বিরাট কোহলি (বামে)। ছবি: এএফপি

ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাত্তা পায়নি কিংস্টন টেস্টেও। অ্যান্টিগায় আগের টেস্টে ৩১৮ রানের বিশাল হারের পর সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেও ভারত তাদেরকে হারিয়েছে ২৫৭ রানের ব্যবধানে। ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে নিজেদের অবস্থান মজবুত করেছে বিরাট কোহলির দল। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত একটি রেকর্ডও গড়েছেন ভারতীয় দলনেতা। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে টপকে অধিনায়ক হিসেবে সাদা পোশাকে দলকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতানোর কীর্তি এখন তার দখলে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) আগের দিনের ২ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে উইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ২১০ রানে, যেখানে তাদের লক্ষ্য ছিল ৪৬৮ রান। ফলে আরেকটি বড় হারের স্বাদ নিতে হয়েছে স্বাগতিকদের। আর ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত।

উইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন শামার ব্রুকস। অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। কনকাশন (মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়ের) বদলি হিসেবে নেমে জেরেমেইন ব্ল্যাকউড করেন ৩৮ রান। যার পরিবর্তে টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় কনকাশন বদলি হিসেবে নেমেছিলেন এই ডানহাতি, সেই ড্যারেন ব্রাভো আহত অবসরে যান ২৩ রান করে। অর্থাৎ একই ইনিংসে ১২ জন ব্যাটিং করেন উইন্ডিজের হয়ে। টেস্ট ক্রিকেটে এমন ঘটনা ঘটেছে প্রথমবারের মতো। ভারতের পক্ষে রবীন্দ্র জাদেজা ৫৮ ও মোহাম্মদ শামি ৬৫ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া ইশান্ত শর্মা ২ উইকেট পান ৩৭ রান খরচায়।

এই জয়ে ২ ম্যাচ খেলে ভারতের অর্জন পূর্ণ ১২০ পয়েন্ট। নিয়ম অনুযায়ী, দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রতিটি ম্যাচের জয়ী দলের জন্য ৬০ পয়েন্ট বরাদ্দ থাকে। অন্যদিকে, সমান ম্যাচ খেলে ক্যারিবিয়ানদের পয়েন্টের ঝুলি শূন্য। ৬০ পয়েন্ট করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা।

ভারতের সাবেক দলনেতা ধোনি ৬০ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জিতেছিলেন ২৭টি। কোহলি তার চেয়ে ১২টি টেস্ট কম খেলেই রেকর্ড গড়েছেন জয়ের। তিনি ভারতকে জিতিয়েছেন ২৮টি ম্যাচে। আরেক সাবেক তারকা সৌরভ গাঙ্গুলি ৪৯ টেস্টে অধিনায়কত্ব করে জিতেছিলেন ২১টি।

Comments

The Daily Star  | English

No clear roadmap for investment

The budget for FY26 has drawn strong criticism from business leaders who say it lacks a clear roadmap for improving the investment climate, bolstering industrial competitiveness, and implementing overdue reforms in the banking sector.

14h ago