ব্যারিস্টার মইনুল আবার কারাগারে

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মানহানির মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মানহানির মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ব্যারিস্টার মইনুল। তার পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তাফা, আমিনুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ কয়েকজন আইনজীবী।

পরে মহিউদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল উচ্চ আদালত থেকে পাঁচ মাসের জামিনে ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা ছিল, সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের বিষয়ে অবহিত করতে হবে। সেই সাথে পুনরায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিতে হবে। “শুনানি শেষে আদালত জানিয়েছে, উচ্চ আদালতের নথি দেখে জামিনের বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।”

গত বছরের ১৬ অক্টোবর এক টক শোতে ব্যারিস্টার মইনুলকে জামায়াতের এজেন্ট বলা হলে তিনি রেগে গিয়ে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন।

পরে ব্যারিস্টার মইনুল তার মন্তব্যের জন্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু দাবি অনুযায়ী প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় ২১ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি।

সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানহানি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে দেড় ডজনের ওপরে মামলা দায়ের হয়। রংপুরে করা মানহানির মামলায় ২২ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আসম আবদুর রবের বাসা থেকে ব্যারিস্টার মইনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now